শক্তিশালী ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে। বিপর্যয়কর এই আবহাওয়ায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া ঝড়-বৃষ্টির পর ক্যালিফোর্নিয়া ও আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়াজুড়ে শক্তিশালী ঝড়, বন্যা, ভূমিধস এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। এছাড়া ঝড়ের জেরে গাছ পড়ে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। ঝড় শুরু হওয়ার পর থেকে দমকলকর্মীরা ১৩০ টিরও বেশি বন্যা সম্পর্কিত ঘটনায় সাড়া দিয়েছে এবং বেশ কয়েকটি উদ্ধারকাজ পরিচালনা করেছে।
বিবিসি বলছে, সোমবার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেস এবং আশপাশের অঞ্চলে প্রায় ছয় মাসের সমপরিমাণ বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হয়েছিল। পূর্বাভাসকারীরা বলছেন, ভারী বৃষ্টির সাথে প্রাণঘাতী আকস্মিক বন্যা মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
মূলত ‘বায়ুমণ্ডলীয় নদী’ প্রভাবের কারণে এই ঝড়টি হয়েছে। এটি এমন একটি ঘটনা যেখানে পানি বাতাসে বাষ্পীভূত হয় এবং বাতাসের মাধ্যমে বাহিত হয়, সেটি দীর্ঘ স্রোত তৈরি করে আকাশে প্রবাহিত হয় ঠিক যেমনটি নদী ভূমিতে প্রবাহিত হয়।
দুই সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয় বায়ুমণ্ডলীয় নদী ক্যালিফোর্নিয়ায় আঘাত হানল। কর্মকর্তারা লস অ্যাঞ্জেলেসসহ দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার কিছু পাহাড়ি এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ জারি করেছেন। এছাড়া মেয়রও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস সোমবার বলেছেন, ‘নিরাপদে থাকুন এবং রাস্তা থেকে দূরে থাকুন, এটি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যদি একেবারেই জোরালো কোনও প্রয়োজন হয় তবেই আপনারা বাড়ি ছেড়ে বাইরে যাবেন।’
এদিকে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের আটটি কাউন্টিতে জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করেছেন গভর্নর। ঝড়ের মধ্যে গাছ পড়ে তিনজন লোক মারা গেছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর মধ্যে স্যাক্রামেন্টো উপত্যকায় এক ব্যক্তি গাছ চাপায় এবং সান্তা ক্রুজ কাউন্টিতে বাড়ির ওপর গাছ আছড়ে পড়ার পর অন্য আরও একজন মারা যান।
এমজে/