আমেরিকা যুদ্ধ চায় না : বাইডেন

জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরাক ও সিরিয়ায় অন্তত ৮৫টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দাবি, এসব স্থাপনা ইরানের অভিজাত বাহিনী আইআরজিসি ও তার সঙ্গে সম্পর্কিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ব্যবহার করতো। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউহ। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ চায় না। কিন্তু কোনো মার্কিন নাগরিকের ক্ষতি করলে তার জবাব অবশ্যই দেওয়া হবে।

বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, গত রোববার জর্ডানে আইআরজিসি সমর্থিত গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সৈন্য প্রাণ হারান। আজ সকালে আমি ডোভার এয়ারফোর্স বেসে সেসব সাহসী সৈন্যের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনে অংশ নিয়েছিলাম। তাদের প্রত্যেকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, বিকেলে আমার নির্দেশনায় ইরাক ও সিরিয়ায় একাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। স্থাপনাগুলো আইআরজিসি ও তাদের সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা চালাতে ব্যবহার করতো।

বাইডেন আরও বলেন, আজ আমাদের প্রতিক্রিয়া দেখানো শুরু হলো। এটি (হামলা) আমাদের পছন্দমতো সময় ও স্থান অনুযায়ী অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্য বা বিশ্বের অন্য কোথাও সংঘাত চায় না যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যারা আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে তাদের সবাই জানুক: আপনি যদি কোনো মার্কিন নাগরিকের ক্ষতি করেন, তাহলে আমরা প্রতিক্রিয়া জানাবো।

এদিকে ইরাক-সিরিয়ায় ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া বা আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি তেহরান। ধারণা করা হচ্ছে, এসব হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে তারা।

তবে যেকোনো হামলার চূড়ান্ত জবাব দেওয়ার জন্য ইরান প্রস্তুত বলে গত বুধবার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আইআরজিসির প্রধান হুসাইন সালামি।

২০২০ সালে ইরাকের রাজাধানী বাগদাদে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলায়মানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ইরাকে মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল ইরান।

গত রোববার জর্ডানে ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তিন সৈন্য নিহত এবং আরও ৪০ জনের বেশি আহত হন। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরুর পর থেকে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর ওপর এটিই প্রথম প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা।

রোববারের ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যানস’ নামে ইরাকের একটি প্রতিরোধ গোষ্ঠী। তবে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এর পেছনে ইরানের হাত ছিল।

যদিও হোয়াইট হাউহের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, এই মুহূর্তে ইরানের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র।

এমজে/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img