দুর্গম পাহাড়ে কৃষি চাষের বদলে জায়গা করে নিয়েছে গাঁজা চাষ। প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের চোখের আড়ালে গাঁজা চাষের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিণত হয়েছে পার্বত্য খাগড়াছড়ির বিভিন্ন দুর্গম পাহাড়ী জনপদ। খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার দুর্গম চৌধুরীপাড়ায় দুই একর পাহাড়ী জমিতে করা হয়েছে নিষিদ্ধ গাঁজার বানিজ্যিক চাষ। দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি এলাকাকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠীর গাঁজার আবাদ করছে।
পার্বত্য খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার দুর্গম চৌধুরীপাড়ায় লোকচক্ষুর অন্তরালে দুই একর জমিতে গাঁজা ক্ষেতের সন্ধান পেয়ে মঙ্গলবার ভোরে গুইমারা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুল আমিন এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী-পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রোববার বেলা ১১টার দিকে গুইমারা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দশ কোটি টাকা মুল্যের গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করে সেনাবাহিনী-পুলিশের যৌথ দল।
এসময় গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধূরী, অতিরিক্ত পুরিশ সুপার (রামগড় সার্কেল) মোহ: নাজিম উদ্দিন ও গুইমারা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুল আমিন ছাড়াও পুলিশ ও সেনা বাহিনীর সদ্যসরা উপস্থিত ছিলেন।
গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে গুইমারার দূর্গম চৌধুরীপাড়া এলাকায় দুই একর গাঁজা ক্ষেত উদ্ধার করে। পরে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য দশ কোটি টাকা বলেও জানান তিনি।
গুইমারা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুল আমিন জানান, এ এলাকাটি খুবই দুর্গম। ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। গাঁজা চাষে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে আইনী কার্যক্রম চলছে।
এমজে/