বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর নতুন করে নির্বাচনের দাবিকে মামাবাড়ির আবদার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রীর কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর আজ প্রথম মন্ত্রণালয়ে যান নতুন মন্ত্রিসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রিরা। সবার মতো ওবায়দুল কাদেরও সকালে নিজ মন্ত্রণালয়ে যান। কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, চাপ বিদেশ থেকেও আছে, দেশে তো আছেই। কিন্তু আমরা অতিক্রম করার ক্ষমতা রাখি। সাহস রাখি। সামর্থ রাখি। আমাদের শক্তির উৎস বাংলাদেশের জনগণ। আমাদের সম্পর্ক মাটি আর মানুষের সঙ্গে। মাটি আর মানুষের সঙ্গে যে সরকারের সম্পর্ক সেই দল কোনো বিদেশি চাপ বা দেশি চাপ কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করে না।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে এসেছি। পথে পথে বাধা। পদে পদে বাধা। তা অতিক্রম করেছি। আমরা অতিক্রম করেছি নির্বাচন পূর্ব পরিস্থিতি। নির্বাচন তো হয়েই গেছে। অনেকে ভেবেছে নির্বাচন আমরা করতে পারব না। তাদের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন হয়ে গেছে। আমাদের স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়িত করেছি। এখন আমাদের চ্যালেঞ্জ আসবে বিদেশি চাপ আসবে। নানাভাবে আমাদের অথর্নীতি বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র আছে। এগুলো ভয় করলে চলবে না। সাহস রাখতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা যখন পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করি তার আগে কেউ ভাবেনি পদ্মা সেতু হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ যখন সমাপ্ত যেখানে বিশ্ব ব্যাংক ছিল না। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু আমরা করেছি। তখনও এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা যাবে এটা কেউ ভাবেনি। কেউ ভাবেনি ঢাকায় আধুনিক মেট্রোরেল হবে। আমাদের সামনে আরও পাঁচটি মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি এখনো বলি সড়ক-যানবাহনে শৃঙ্খলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আশা করছি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সড়কে নিরাপত্তা সফলতা দিকে নিয়ে যেতে পারব। এই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ।
সেতুমন্ত্রী বলেন, রাস্তাকেও স্মার্ট করতে হবে। এক পশলা বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটের অস্তিত্ব থাকবে না এই রাস্তা করে লাভ নেই। বিষয়টি আরও গুরুত্ব দেব।
বিরোধী দলের প্রতি বার্তা দিতে চান কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, এ দেশটা সকলের। দেশ যে শুধু আওয়ামী লীগের সেটা তো বলতে পারি না। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চায় আসতে হবে৷ আমরা চিরজীবন ক্ষমতায় থাকব না। একটা দল চিরজীবন ক্ষমতায় থাকেও না। এ দেশের সকল সম্পদ জনগণের। বিরোধী দলের যারা আছে তারাও এ সম্পদের অংশীদার। কাজেই উন্নয়নের যে যাত্রা শুরু হয়েছে সেটা ২০৪১ সাল অবধি আমাদের ভিশনে নিয়ে যেতে হবে।
এমজে/