বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউমে’ পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। ফলে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১০ নং বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূহ হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে পরিণত হয়েছে। এটি সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
এছাড়াও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্ররকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর বিকেলে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। মিধিলির তাণ্ডবে সারাদেশে প্রাণ হারান ৭ জন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়ার কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এমজে/