রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের হানুবাইশ গ্রামে ভূকম্পের উৎপন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কম্পনটি ৫.৬ রিখটার স্কেল মাত্রা ও মাঝারি আকারের ছিল।
আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা স্থানীয় প্রশাসনকে এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫। আরো বলছে, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা থেকে ৮ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্বে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল।
রাজধানী ছাড়াও রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, চুয়াডাঙ্গা, নোয়াখালী, কুষ্টিয়া থেকে ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়নি।
এদিকে ভাদুর ইউনিয়নের সমেষপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ ফরিদ বলেন, ভূমিকম্পের সময় আমি রামগঞ্জ উপজেলা শহরে ছিলাম। এজন্য কম্পনের বিষয়টি বেশি বুঝতে পারিনি। বাড়িতে এসে শুনেছি৷ আমাদের পুরো বিল্ডিং কেঁপে উঠেছে। এ ধরণের ভূকম্পন আমাদের এলাকায় আর দেখা যায়নি।
উপজেলার লামচর ইউনিয়নের পানপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, আমি বাঁশ ঝাড়ের নিচে ছিলাম। হঠাৎ পুরো এলাকা কেঁপে উঠেছে। এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, যেন বাঁশগুলো আমার ওপর ভেঙে পড়ছে। এ ধরণের ভূমিকম্প আর দেখিনি।
রামগঞ্জের ভাদুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন বলেন, আমি শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে খাট নড়ে উঠেছিল। পুরো বিল্ডিংটাই নড়ছিল। এ ধরণের ভূমিকম্প গত কয়েক বছরে দেখিনি। গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি আমাদের হানুবাইশ গ্রামে ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থল। তাৎক্ষণিক স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছি। কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবু খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
রামগতি প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যেবক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সোহরাব হোসেন বলেন, রামগঞ্জে ভূকম্পনের উৎপত্তি হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আমাদেরকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। রামগতিও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুরাইয়া জাহান বলেন, ভূমিকম্পটি রামগঞ্জ থেকে উৎপত্তি হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবু রামগঞ্জ ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।
এমজে/