আগামী ১ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো চলবে ঢাকা-কক্সবাজার রুটের ট্রেন কক্সবাজার এক্সপ্রেস। এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৮টার পর থেকে শুরু হয় এ রুটে ট্রেনের টিকিট বিক্রি। তবে বিক্রি শুরুর এক ঘণ্টাতেই শেষ হয়ে গেছে ৩ দিনের টিকিট।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সূত্র জানিয়েছে, আজ দেয়া হয় ১, ২ ও ৩ ডিসেম্বরের টিকিট। এরপর পর্যায়ক্রমে আগামীকাল শুক্রবার থেকে বিক্রি হবে পরের দিনগুলোর টিকিট। কিন্তু বিক্রি শুরুর প্রথম ঘণ্টাতেই ৩ দিনের টিকিট শেষ হয়ে যায়।
সাধারণত যাত্রার নির্ধারিত দিনের ১০ দিন আগে থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। তবে নতুন রুট ও আসন বিন্যাস নিয়ে জটিলতা থাকায় কক্সবাজার এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রি শুরু হয় ৮ দিন আগে। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ১৩ কোচের বগিতে মোট টিকিটের সংখ্যা ৭০০টি।
রেলওয়ের তথ্যমতে, ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে বিরতিহীন ট্রেন চালু করা হবে। ট্রেনটি রাত ১০টা ৩০ মিনিটে কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে পরদিন ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে পৌঁছাবে। ৮ ঘণ্টা ১০ মিনিটের এই যাত্রা পথে শুধু ঢাকা বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম স্টেশনে থামবে। ট্রেনটি একইভাবে বেলা ১টায় কক্সবাজার ছেড়ে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে।
তবে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি নন-স্টপ হওয়ায় সাধারণ আন্তনগর ট্রেনের চেয়ে ভাড়া বেশি ধরা হয়েছে। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা, স্নিগ্ধা (এসি সিট) শ্রেণিতে ১ হাজার ৫৯০ টাকা এবং এসি বার্থের (ঘুমিয়ে যাওয়ার আসন) ভাড়া ২ হাজার ৩৮০ টাকা। অন্যদিকে যেসব যাত্রী চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যাবেন তাদের শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ৩৮৬ টাকা, এসি সিটের ৪৬৬ এবং এসি বার্থের ৬৯৬ টাকা।
এর আগে চলতি মাসের ১১ নভেম্বর ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময় ঘোষণা দেয়া হয়, ১ ডিসেম্বর থেকে এই রুটে ট্রেন চলাচল করবে। শুরুতে এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন দিয়ে শুরু হবে যাত্রা।
গত ১১ নভেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেলপথ উদ্বোধন করেন। এরমাধ্যমে প্রকল্প অনুমোদনের প্রায় সাড়ে ১৩ বছর পর বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হয় কক্সবাজার।
এমজে/