দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে। সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ব্রিফ করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
মো. জাহাংগীর আলম বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বুধবার বিকেলে ২৬তম কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভায় তফসিল ফাইনাল করা হবে। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেস সিইসি। ওই ভাষণে তিনি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। বিটিভি ও বেতারে সরাসরি সম্প্রচার হবে সিইসির ভাষণ।
ইসি সচিব জানান, নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ আছে বলেই তফসিল দেয়া হচ্ছে।
এই মুহূর্তে দেশের সব থেকে আলোচিত প্রশ্ন তফসিল কবে। সংবিধান মতে পহেলা নভেম্বর থেকেই শুরু হয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাউন্টডাউন। ডেড লাইন ২৯ জানুয়ারি। অর্থাৎ এই মাসের শুরু থেকে যেকোনো সময় তফসিল দিতে পারবে কমিশন। চলতি সংসদের পাঁচ বছর পূর্ণের আগের ৯০ দিন অর্থাৎ ভোট হতে হবে ২৯ জানুয়ারির মধ্যেই।
ভোটের প্রস্তুতিতে আগেই রোডম্যাপ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই অনুসারে ভোটার তালিকা হাল নাগাদ, সীমানা পুনঃনির্ধারন, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, ব্যালট বাদে ভোটের বাকি সরঞ্জাম জেলায় জেলায় পৌঁছে দেয়াসহ সব কাজ সেরেছে নির্ধারিত সময়ে।
রেওয়াজ অনুযায়ী ৯ নভেম্বর বঙ্গভবনে ভোটের সব শেষ প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছে কমিশন। এখন কেবল বাকি তফসিল ঘোষণার।
৭০ (১৯৭০ সাল) পরবর্তী সময়ে এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচনের তফসিল হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে দেশবাসীকে অবহিত করেছেন। সেই রেওয়াজের ব্যতিক্রম এবারও হচ্ছে না।
এদিকে বিকেলে বৈঠক, জাতির উদ্দেশে সিইসির ভাষণ ও তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনের আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে একাদশ সংসদের মেয়াদ। সংবিধান অনুযায়ী, এ সময়ের মধ্যে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। আর এজন্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।
নভেম্বরের প্রথমার্ধে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল দেয়ার কথা আগে থেকেই জানিয়ে আসছিল নির্বাচন কমিশন।
এমজে/