বঙ্গবন্ধু টানেলে যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ার পর গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ লাখ ১৩ হাজার ৩০০ টাকার টোল আদায় হয়েছে। ৫ হাজার ৪২৯টি গাড়ি থেকে এই টোল পাওয়া যায়।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এসব গাড়ি চলাচল করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বঙ্গবন্ধু টানেলের সহকারী প্রকৌশলী (টোল ও ট্রাফিক) তানভীর রিফা।
তিনি জানান, সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৪২৯টি গাড়ি টানেল পার হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় গড়ে প্রায় ২২৬টি গাড়ি চলাচল করেছে। এতে মোট টোল আদায় হয়েছে ১২ লাখ ১৩ হাজার ৩০০ টাকা। এছাড়া দ্বিতীয় দিনে প্রথম দু’ঘণ্টায় সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৬০টি গাড়ি থেকে ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
এদিন পতেঙ্গা প্রান্তে সকাল ৬টায় প্রথম সাধারণ ব্যক্তি হিসেবে টোল প্লাজায় গাড়ি নিয়ে আসেন দুলাল সিকদার। আর প্রথম যাত্রীবাহী বাস হিসেবে টানেল পাড়ি দেয়ার সৌভাগ্য লাভ করে বিডি বাস লাভার গ্রুপের একটি বাস।
অন্যদিকে, আনোয়ারা প্রান্তে ভোর ৬টায় প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দেন মুন্সীগঞ্জের ব্যবসায়ী জুয়েল রানা। এরপর টোল দেন সাতকানিয়ার বাসিন্দা চালক শফিকুল আলম।
সরেজমিনে দেখা যায়, টানেলে প্রবেশের জন্য রোববার ভোর থেকেই উভয়প্রান্তে প্রায় শতাধিক গাড়ি অপেক্ষমাণ ছিল। তবে, পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে আনোয়ারা কেন্দ্রে গাড়ির চাপ ছিল বেশি।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু টানেল। টানেল পার হতে ৪ হাজার ২০০ টাকা টোল দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে মোট ২১টি গাড়ি ছিল। এর মধ্যে নিজের গাড়ির জন্য ২০০ টাকা এবং বহরের বাকি ২০টি গাড়ির জন্য ৪ হাজার টাকা টোল দেন। রোববার সকাল ৬টা থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় টানেল।
এমজে/