রাজধানীর কাকরাইলে আগুন লাগা এস এ পরিবহনের পার্সেল ও কুরিয়ার সার্ভিসের ভবনটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। সেখানে দাহ্য পদার্থের সঙ্গে সাধারণ মালামাল রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বাহিনীটি, যা অনৈতিক।
আজ সোমবার (৯ অক্টোবর) কুরিয়ার সার্ভিসটির প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে এসব কথা বলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেচন) লে. কর্নেল রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, কুরিয়ার সার্ভিসটির ভবনটিতে কোনো আগুন নেভানোর ব্যবস্থা পাওয়া যায়নি।
রেজাউল করিম বলেন, ভবনটিতে থেমে থেমে কিছু আতশবাজি ও পটকা ফোটার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। কিছু পটকাজাতীয় বস্তু পাওয়া গেছে। রাসায়নিক দ্রব্যও পাওয়া গেছে। তবে সেটা কী, তা তদন্তের পর জানা যাবে।
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, সাধারণ মালামালের সঙ্গে রাসায়নিক দ্রব্য, বিস্ফোরক দ্রব্য থাকা উচিত নয়, বৈধও নয়। সেক্ষেত্রে এস এ পরিবহন কর্তৃপক্ষ কাজটি ঠিক করেনি।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ভবনটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট। আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করায় পরে আরও পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। মোট ১০টি ইউনিট প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালানোর পর সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এমজে/