ডেকেছে তাই এসেছি, আমার কিছু বলার নেই : ড. ইউনূস

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ে আসার ব্যাপারে বলেছেন, আমাকে ডেকেছে তাই এসেছি। আমার আর কিছু বলার নেই।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আইনজীবী এবং গ্রামীণ টেলিকমের দুই কর্মকর্তাসহ দুদক কার্যালয়ে আসেন ড. ইউনূস। প্রায় দুই ঘণ্টা কার্যালয়ে থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।

এ সময় দুদকের পক্ষ থেকে তার কাছে কী জানতে চাওয়া হয়েছে সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে ড, ইউনূস বলেন, আমার কোনো মন্তব্য নেই। তবে আপনারা কষ্ট করে এসেছেন সেজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। এরপর উপস্থিত সব সংবাদিকদের সালামও দেন তিনি।

আমি কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো, এটা লিগ্যাল বিষয় বলেও উল্লেখ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, আমাকে ডেকেছে তাই এসেছি। অভিযোগের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। এটা আইনি বিষয়, আমার আইনজীবী বলবেন।

এছাড়া দুদক কেন ডেকেছিল বা কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে তার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গ্রামীণ টেলিকমের ১০৬ কর্মচারী শ্রম আদালতে মামলা করেছিলেন। সেখানে বলা হয়েছে, কেন তাদের নীট মুনাফার ৫% এর অংশ দেয়া হবে না। এ নিয়ে ট্রেড ইউনিয়নেও মামলা করেছিল। এই মামলা ট্রেড ইউনিয়ন শ্রম আদালতে গোপন করে হাইকোর্টে এসে একটি মামলা করল যে, টেলিকমকে অবসায়ন এবং লিকুইডিটর দেয়ার জন্য।

আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের বক্তব্য ছিল এমন, গ্রামীন টেলিকম সামাজিক ব্যবসার একটি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি ও শিল্প-কলকারখানা গড়ে তোলে বেকারত্ব দূর করা। এটাই স্যারের (ড. ইউনূস) থিওরি অনুযায়ী মূল্য উদ্দেশ্য। এতে বলা আছে, কেউ কোনো মুনাফা নেবে না, এই মুনাফা সমাজের উন্নয়নের জন্য ধারাবাহিকভাবে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে এবং বেকারত্ব দূর করা হবে।

আইনজীবী আরও বলেন, সারা পৃথিবী তার (ড. ইউনূস) এই উদাহরণ গ্রহণ করেছে, আমেরিকাসহ পুরো ইউরোপ। কোম্পানি আইনের ২৮ ধারায় রয়েছে, যারা সমাজের কল্যাণের জন্য কাজ করবে, সেটির মুনাফা দেয়া নিষিদ্ধ। এ কারণে গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি আইনের এই ধারায় একটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। এর মুনাফা দেয়া নিষিদ্ধ। এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি আইনে। আর লেবার কোর্টের দায়িত্ব হচ্ছে, এই কোম্পানিতে যেসব শ্রমিকরা কাজ করবেন তাদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা দেখভাল করা।

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দিয়ে অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব করে দুদক।

এমজে/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img