চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট আল-আমিন হামেদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রধান হিসাব রক্ষক ও ইসলামপুর ইউনিয়ন গাউছিয়া কমিটির সভাপতি মাস্টার আবুল কালামের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে গাউছিয়া কমিটির ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৪সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রানীরহাট বাজারস্থ বিদ্যালয়ের সামনের এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ আল্লামা নজরুল ইসলাম আলকাদেরীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা উত্তর গাউসিয়া কমিটির সভাপতি ও মাদ্রাসার শিক্ষক আল্লামা গাজী আবুল কালাম বয়ানী, উপজেলা উত্তর গাউছিয়া কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছালেহ আহমদ সওদাগর, রাজানগর ইউনিয়ন গাউছিয়া কমিটির সভাপতি মাওলানা নুরুল আলম হেলালী, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ চৌধুরী, ইসলামপুর ইউনিয়ন গাউছিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ সিদ্দিক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ ইব্রাহিমসহ-মাদ্রাসার প্রভাষক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, মাদ্রাসার প্রধান হিসাবরক্ষণ মাস্টার আবুল কালামের ওপর যারা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে তাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাস্টার আবুল কালাম রানীরহাট বাজারের বনলতা নামের একটি দোকানে চা খেতে গেলে, স্থানীয় খোরশেদ সওদাগরের পরিত্যক্ত দুটি টিন সিট মাদ্রাসার কাজে লাগানোর কৈফিয়ত চেয়ে সন্ত্রাসী সাইদুল আলম চৌধুরী (৫৫) লোহার লড দিয়ে হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত অবস্থায় মাস্টার আবুল কালামকে ফেলে চলে যায়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে মাস্টার আবুল কালামকে উদ্ধার করে নিকটস্থ কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
.এ ঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর মাস্টার আবুল কালাম বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন ১নং রাজানগর ইউনিয়নের আবুল কালাম চৌধুরীর পুত্র সাইফুল আলম চৌধুরী ও একই ইউনিয়নের বাছুর মোহাম্মদ পাড়ার মৃত আসাদুজ্জামানের পুত্র খোরশেদ আলম সওদাগর।
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষক মাস্টার আবুল কালামের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দুইজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতারে কাজ শুরু করেছে।
এমজে/