পরীমণি ও শরিফুল রাজের সাংসারিক জীবনের নাটকীয়তা থামছেই না। জানা গিয়েছিল, মনোমলিন্য শেষে ফের কাছে এসেছেন তারা। থাকছেন একসঙ্গে।
এ প্রসঙ্গে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে পরীমণি বলেন, ‘ছেলের বাবা ছেলের কাছে ফিরে এসেছে। সবাই আমার রাজ্যর জন্য দোয়া করবেন। ওর মুখের হাসির জন্য আমাদের সব ভুলে যাওয়া।’
রাজও জানান, পরীমণির বাসায় ফিরেছেন তিনি। বর্তমানে তারা একসঙ্গেই আছেন। অভিনেতা বলেন, ‘আমি এখন বসুন্ধরার বাসায়। আমি ও পরীমণি একসঙ্গেই আছি। গত রাতে বাসায় ফিরেছি। ঠিকঠাক আছি, ভালো আছি। বাবুকে সময় দিচ্ছি।’
কিন্তু সত্যটা তা নয়। তারা একসঙ্গে থাকছেন না। জানা গেছে, পরীমণি জ্বরে ভুগছেন। কিন্তু পাশে রাজ নেই। তারা গণমাধ্যমে যা বলেছেন, সেটার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।
এদিকে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাজ। সূত্রের বরাতে জানা যায়, তার মাথা ফেটে গেছে। কিন্তু কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল— সেই তথ্য জানা যায়নি।
এর আগে গান বাংলা চ্যানেলের দুই কর্ণধার কৌশিক হোসেন তাপস ও ফারজানা মুন্নী দম্পতি তাদের কার্যালয়ে পরীমণি ও রাজের সন্তান রাজ্যর জন্মদিন উদযাপন করতে কেক কাটেন। তার আগেই বসুন্ধরার বাসা থেকে পরীমণি সন্তানসহ সেখানে যান। অন্যদিকে রাজও যান সেখানে। দুজনের সেখানেই দেখা হয়। পরে এই জুটি একসঙ্গে ছবি তোলেন। যা ফেসবুকে প্রকাশ করেন তাপস।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া সেসব স্থিরচিত্র দেখে সবাই ভেবেছিলেন, নিজেদের মধ্যকার মান-অভিমান ভুলে প্রায় তিন মাস পর এক ছাদের নিচে ফিরছেন পরীমণি ও রাজ।
গত ২০ মে পরীমনিকে রেখে নিজের সব জিনিসপত্র নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন রাজ। এরপর ২৯ মে দিবাগত রাতে রাজের ফেসবুক আইডি থেকে রাজ ও তিন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত কিছু ছবি ও ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর থেকে দুজনের সম্পর্ক আরও খারাপ হয়। এর পর থেকে দুজন আলাদা থাকছিলেন।