কক্সবাজারের পেকুয়া ও চকরিয়া উপজেলায় বানের পানি নেমে যাওয়ায় একে একে চার শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে পেকুয়া উপজেলায় তিন, চকরিয়া উপজেলায় এক শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই চার শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মো. জাবেদ মাহমুদ।
মৃত শিশুরা হলো: চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ভেরুয়াখালীপাড়ার মো. এমরানের ছেলে মো. জিশান (৯), পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের নুরুল আলমের মেয়ে তাহিদা বেগম (১০) ও ছেলে আমির হোছাইন (৭) এবং তাদের নিকটাত্মীয় ছাবের আহমদের মেয়ে হুমাইরা বেগম (৮)।
উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম জানান, বুধবার (৯ আগস্ট) বিকেলে তিন শিশু পাশের সাহেবখালী খালের কাছে ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফেরার পথে সাহেবখালী খালে পড়ে নিখোঁজ হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে ওই খালে তাদের মরদেহ ভেসে ওঠে। তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বদরখালী ইউনিয়নের রেরুয়াখালীর নতুন বাজারের পাশে মো. জিশানের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাহমুদ।
তিনি জানান, বদরখালীতে বুধবার সকালে বন্যার পানিতে খেলা করছিলো মো. জিশান। এসময় সে বন্যার পানির স্রোতে ভেসে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বৃহস্পতিবার সকালে গোয়াখালী থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে হোসাইন আরিফ বলেন, নিহত শিশুদের মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এমজে/