দেশে এ পর্যন্ত ৩৭ লক্ষাধিক মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। টিকার এই ডোজ গ্রহণকারীর সংখ্যা ৩৭ লাখ ৮৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৩ লাখ ৭৮ হাজার ৬৭৫ এবং নারী ১৩ লাখ ২১ হাজার ৪০৮ জন।
এদিকে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯১২ জন। এর মধ্যে ৩৬ লাখ আট হাজার ৯৭৯ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৩৩।
এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪৮ হাজার ৯৩০ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ৩০ হাজার ৬৩৫ এবং নারী ১৮ হাজার ২৯৫ জন।
এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ লাখ ৪৮ হাজার ছয়জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ছয় লাখ ৬৭ হাজার ১৮৮ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৮ লাখ সাত হাজার ৯৭৫ জন ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন নয় লাখ ২০ হাজার চারজন।
ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এক লাখ ৬০ হাজার ৭০০ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন দুই লাখ ৮৯ হাজার ২৩৩ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন সাত লাখ ৫৬ হাজার ৬১২ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২০৪ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তিন লাখ ৭৬ হাজার ৮৬০ জন, প্রথম ডোজ ছয় লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৭ জন।
রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তিন লাখ ২৯ হাজার ১২৭ জন, প্রথম ডোজ পাঁচ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৩ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন চার লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৮ জন, প্রথম ডোজ সাত লাখ ৩১ হাজার ৮৯ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এক লাখ ৬০ হাজার ৫২৮ জন, প্রথম ডোজ দুই লাখ ৫১ হাজার ৩৪৫ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন দুই লাখ তিন হাজার ৩১২ জন, প্রথম ডোজ তিন লাখ এক হাজার ১৫৬ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পরদিন রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেওয়ার ৬০ দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে।
দেশে টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।