লিবিয়ার ত্রিপলীর ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৩১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে আইওএম-এর ভাড়া করা লিবিয়ার বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা।
বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও আইওএম-এর কর্মকর্তারা এসব বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রহণ করেন। এসময় উপস্থিত কর্মকর্তারা ফিরে আসা প্রবাসীদের এ ধরনের অবৈধ অভিবাসনের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে অবহিত করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা পরিহারের আহ্বান জানান। এছাড়াও তারা অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি ও নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য তাদেরকে তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আত্মীয়স্বজন এবং পরিচিতজনদেরকে জানানোর অনুরোধ করেন।
লিবিয়া ছাড়ার আগে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার লিবিয়ার অভিবাসন অধিদপ্তরের অভ্যর্থনা হলে প্রত্যাবর্তনে অপেক্ষমান বাংলাদেশি নাগরিকদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদেরকে বিদায় জানান। এসময় তিনি তাদেরকে নিরাপদে দেশে প্রেরণের জন্য দূতাবাসের প্রচেষ্টা সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি ও নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য তাদেরকে দেশে ফেরার পর তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আত্মীয়স্বজন এবং পরিচিতদেরকে জানানোর অনুরোধ করেন।
বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, দূতাবাসের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয়ের পর লিবিয়ার ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশীদের সাথে সাক্ষাৎ করা হয় এবং তাদের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। একইসাথে আইওএম এর নিকট তাদের রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে লিবিয়ার ডিটেনশন সেন্টারের আটক অবশিষ্ট অভিবাসীসহ ত্রিপলী ও বেনগাজীতে আইওএম এর সাথে ইতোমধ্যে নিবন্ধিত প্রবাসীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে প্রত্যাবাসনে দূতাবাসের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে।
এমজে/