চট্টগ্রাম–১০ আসনের উপনির্বাচনে ১৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ পরিচালনার জন্য ১২ জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে প্রতিটি কেন্দ্রে ১৬ জনের ফোর্স মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। সাধারণ কেন্দ্রে অস্ত্রসহ পুলিশের তিন জন, আনসারের দুজন সদস্য থাকবেন। এ ছাড়া আনসারের ১০ জন সদস্য এবং একজন গ্রাম পুলিশ সদস্যও থাকবেন।
অন্যদিকে, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পুলিশের একজন ও গ্রাম পুলিশের দুজন অতিরিক্ত সদস্য থাকবেন। এ ছাড়া ভোটের এলাকায় নির্বাচনের দিন পুলিশের আটটি মোবাইল টিম ও চারটি মোবাইল স্ট্রাইকিং টিম, র্যাবের চারটি টিম ও চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনায় নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ইতো মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছেন। বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানকে পাঠানো ওই পরিপত্রে বলা হয়েছে, ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম–১০ নির্বাচনী এলাকার শূন্য আসনে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ ভূমিকার ওপর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান বহুলাংশে নির্ভর করছে। সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সততার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করলেই সরকারের নিরপেক্ষতা জনগণের নিকট দৃশ্যমান হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম–১০ আসন। এ আসতে গত তিন বারের সংসদ সদস্য ছিলেন ডা. আফছারুল আমীন। গত ২ জুন তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। আগামী ৩০ জুলাই এ আসনের উপনির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এ আসনে।
এমজে/