আশ্বাসে রেলপথ ছাড়ল শ্রমিকরা, রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেনের আশ্বাস ও তেজগাঁওয়ের এডিসি হাফিজ আল ফারুকের অনুরোধে রেলপথ ছেড়েছে আন্দোলনরত রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা। এ সময় জিএম পায়ে হেঁটে শ্রমিকদের নিয়ে রেল ভবনের উদ্দেশে নিয়ে রওনা হন। ফলে ঢাকার সঙ্গে বন্ধ থাকা সারা দেশের রেল যোগাযোগ আবার স্বাভাবিক হলো।

আজ রোববার (১৬ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে তারা রেলপথ ছেড়ে দেয়। এর আগে সকাল ১০টায় তারা রাজধানীর এফডিসি রেলক্রসিং এলাকায় রেলপথ অবরোধ শুরু করেন।

ডিএমপির তেজগাঁও জোনের এডিসি হাফিজ আল ফারুক বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করা হয়েছে। এখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকরা আলোচনা করতে চান। এ জন্য তাদের নিয়ে রেলভবনে যাওয়া হচ্ছে। শ্রমিকরা রেললাইন থেকে সরে এসেছেন।

এর আগে দুপুর দুইটায় শ্রমিকদের বিক্ষোভে আটকা পড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস এক্সপ্রেস ট্রেনটি পেছন থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। ট্রেনে গন্তব্যে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।

বেলাল নামের এক যাত্রী জানান, সকাল ১০টায় কমলাপুর থেকে ট্রেনটি ছাড়ে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে টেন আবার কমলাপুরের দিকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে বিএফডিসি রেলগেট এলাকায় রেললাইনের ওপর অবস্থান নেন রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা। এ সময় তিতাস কমিউটার ট্রেন আটকে দেন তারা।

মূলত বাংলাদেশে রেলেওয়ের নিয়োগ পাওয়া অস্থায়ী শ্রমিকদের (টিএলআর) চাকরি ফেরত দেওয়া, স্থায়ীকরণ, আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল করা এবং নিয়োগবিধি ২০২০ সংশোধন করে আগের মতো ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের যোগ্যতা ৮ম শ্রেণি পাস বহাল রাখার দাবিতে ট্রেন আটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন অস্থায়ী শ্রমিকরা।

অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা শ্রমিকরা বলেছেন, আমরা বারবার রেল ভবনে স্মারকলিপি দিয়েছি। তারা আমাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিকার না পাওয়া পর্যন্ত রেললাইন ছাড়ব না।

এমজে/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img