সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলছে। সমস্ত বিনোদন কেন্দ্র গুলো বন্ধ ঘোষণা করেছেন স্থানীয় প্রশাসন।
গতবারের মত এবারও ঈদুল ফিতরে চট্টগ্রামের সকল শিশুপার্ক থেকে শুরু করে সকল পর্যটন কেন্দ্র গুলো বন্ধ রয়েছে। প্রত্যেক পর্যটন কেন্দ্রে পুলিশের সতর্ক অবস্থান রয়েছে যাতে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড় না জমে।
কিন্তু নগরীর অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকলেও একবারে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। উম্মুক্ত এই বিনোদন কেন্দ্রে ঈদের নামাজের পর দুপুর গড়াতেই লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে। এখানেও পুলিশের সর্তক অবস্থান এবং বাঁধাকে উপেক্ষা করে দুপুরের মধ্যে পুরো সৈকতের আশপাশ এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
বিপুল সংখ্যক মানুষের তুলনায় পুলিশের সংখ্যা ছিল কম। পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়।
সরেজমিনে বিকাল বিকাল ৫ টায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, হাজার হাজার নানান শ্রেণী পেশার মানুষের বাধ ভাঙ্গা জোয়ার। পুলিশ মাইক দিয়ে পর্যটকদের বারবার ভিড় না করার অনুরোধ করলেও তাদের অনুরোধ উপেক্ষিত হয়। বিকাল হতে না হতেই পুরো পতেঙ্গা সমুদ্র এলাকায় ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড় আরও বেড়ে যায়। ভিড় ঠেকাতে এক পর্যায়ে পুলিশ এ্যাকশান শুরু করে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের মূল পয়েন্ট থেকে পর্যটকদের সরিয়ে দেন।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. আলমগীর জানান, লকডাউনের কারণে অনেকদিন ধরে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে দোকান ভাসমান দোকান গুলো বন্ধ।
আজকে ঈদের দিনে লোকজন আসবে অনেকদিন পর দোকান খোলার জন্য আসলেও পুলিশ কাউকে বসতে দিচ্ছে না।
দুপুরের পর থেকে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। পুলিশ বীচে প্রবেশ না করার জন্য মাইকিং করলে মানুষের ভিড় ঠেকাতে হিমশিম খেতে হয়। এখন সবাইকে বীচ থেকে পশ্চিম পাশে চর পাড়া এলাকায় সরিয়ে দেয়।
এদিকে ফয়েস লেক, কাজীর দেউড়ি চট্টগ্রাম শিশুপার্ক, স্বাধীনতা শিশুপার্ক গুলো ঈদের দিনে লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে।
অপরদিকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের মতো নগরীর উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র সিআরবি এলাকায় দুপুর থেকে উঠতি তরুণ তরুণীদের ভিড় বাড়তে থাকে। নিচের সমতল এলাকা থেকে বিভিন্ন পাহাড়ের চূড়ায় অসংখ্য তরুণ তরুণীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এখানেও পুলিশ মাইকিং করে সবাইকে সরিয়ে দিতে দেখা যায়।