চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশে পরিচিত পেয়েছেন কড়া কোচ হিসেবে। প্রথম মেয়াদে তার কড়া আচরেণর কারণে বিদায় ছিল বিতর্কিত। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বুঝতে পারে টাইগারদের জন্য হাথুরুর মতোই কড়া কাউকে প্রয়োজন। তাইতো দ্বিতীয় দফায় তাকে প্রধান কোচ করে ফেরানো হয় বাংলাদেশে। টাইগারদের কোচিং প্যানেলে আছেন আরেক লঙ্কার ক্রিকেটার রঙ্গনা হেরাথ। তিনি স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দু’জনে একসঙ্গে খেলেছেন, আবার হাথুরুসিংহে যখন শ্রীলঙ্কার কোচ ছিলেন তার অধীনেও খেলেছেন হেরাথ। এখন দু’জনেই আবার বাংলাদেশের কোচিং প্যানেলে কাজ করছেন। হাথুরুসিংহে কড়া হেডমাস্টার হিসেবে পরিচিত হলেও হেরাথ তা মানতে নারাজ। তিনি তাকে মনে করেন বলছেন যোদ্ধা।
টাইগার প্রধান কোচের লড়াকু মানসিকতা দারুণ পছন্দ করেন হেরাথ। তার মতে, ‘আমি জানি না কীভাবে আপনি এসব (কঠোর) মূল্যায়ন করবেন। যখন আপনি নিজের লক্ষ্যের উপর কঠোর পরিশ্রম করবেন, তখন আপনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। আমি মনে করি না সে কড়া মানসিকতার কেউ। সে সবসময় একজন যোদ্ধা, আমি তার এই মানসিকতা পছন্দ করি।’
অন্যদিকে হেরাথ স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্বটা পালন করছেন দারুণ ভাবেই। সবশেষ তার চমক চেমসফোর্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে। ৪২তম ওভারে শান্তকে বোলিংয়ে আনেন তামিম। প্রথম ওভারেই দারুণ খেলতে থাকা হ্যারি টেক্টরের উইকেট নেন শান্ত। সব মিলিয়ে ৩ ওভারে স্রেফ ১০ রান খরচায় ১ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলা শান্ত সেদিন অফ স্পিনে নিজের সামর্থ্যরে ছাপ রাখেন। খুব বেশি বোলিং না করলেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রু এনে দেয়ায় শান্তর বোলিংয়ে খুশি হেরাথ। তিনি বলেন, ‘এটি (ব্যাটসম্যানদের বোলিং করা) খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ব্যাটাররা যদি ৩-৪ ওভার বোলিং করে দিতে পারে, যেমন শান্ত করেছে, বোলিং দলকে এটি বাড়তি কিছু বিকল্প দেয়। দলের কম্বিনেশন ঠিক করার সময় বিকল্প বেশি থাকলে ঠিক কম্বিনেশন পাওয়া সহজ হয়। শান্ত, হৃদয়কে বোলিং করতে দেখা সবসময়ই ভালো লাগে আমার।’
এ বছর অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে বসবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। বলার অপেক্ষা রাখে না ভারতের বেশির ভাগ উইকেটই হবে বোলারদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। বিশ্বকাপের বাকি ৪ মাসের কিছু বেশি সময়। ভারতের উইকেটগুলো এখন স্পিনারদের জন্য বাড়তি মাথাব্যথার কারণ। পাশাপাশি আইসিসি ইভেন্টের উইকেটে সাধারণত বোলারদের খুব বেশি সুবিধা থাকে না। দারুণ বোলিং করেই উইকেট আদায় করে নিতে হয়। এই সব চ্যালেঞ্জ নিয়ে স্পিন কোচ বলেন, ‘আমি সবসময়ই মনে করি, স্পিনারদের জন্য কন্ডিশন কঠিন হলে সেখানে চ্যালেঞ্জ থাকবে। এ কারণে বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আমরা প্রস্তুত হয়ে যাব। এটি প্রস্তুতির অংশ। আমরা বৈচিত্র্য ও কৌশল নিয়ে কাজ করেছি। পিচ থেকে সহায়তা না পেলে এসব বিষয় কাজে লাগাতে হবে।’
এমজে/