এক সময় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল মহাতারকা একের পর এক রেকর্ডে পরস্পরকে ছাড়িয়ে যেতেন। আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সেই দ্বৈরথ এখন তেমনটা নেই। তবে রেকর্ড আর ষোলআনা স্বপ্ন পূরণের সময়ে আরেকটি মাইলফলকে পৌঁছেছেন মেসি। যার মাধ্যমে তিনি রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেছেন।
শনিবার (২৭ মে) রাতে ফরাসি লিগ আঁ-তে মৌসুমের একমাত্র শিরোপা নিশ্চিত করেছে পিএসজি। স্ট্রাসবুর্গের সঙ্গে ১-১ গোলে ম্যাচটি ড্র হলেও, শীর্ষে থেকে শিরোপা নিশ্চিত করেছেন মেসি-এমবাপেরা। সেই ম্যাচে দলের হয়ে মেসি একমাত্র গোলটি করেছেন। চলতি আসরে এটি তার ১৬তম গোল। একইসঙ্গে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়ে ফেললেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
এতদিন পর্যন্ত এই রেকর্ডটি ছিল বর্তমান আল-নাসর তারকা রোনালদোর দখলে। পর্তুগিজ মহাতারকা রোনালদো ইউরোপীয় ক্লাবের হয়ে ৬২৬ ম্যাচে ৪৯৫ গোল করেছিলেন। তার সেই অর্জন গত ১৫ এপ্রিল ছুঁয়ে ফেলেছিলেন মেসি। লিগ ওয়ানে লেন্সকে ৩-১ গোলে হারানোর ম্যাচে তিনি পিএসজির হয়ে একটি গোল করেছিলেন। তারপর মাঝে তার নিষেধাজ্ঞা ও গোলশূন্যতায় একটি গোল পেতে তাকে প্রায় দেড়মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে।
৫৭৭ ম্যাচেই রোনালদোকে টপকে গেছেন মেসি। একইসঙ্গে ১০টি লা লিগা শিরোপা থাকা মেসির এটি সব মিলিয়ে ১২তম লিগ শিরোপা। তার চেয়ে বেশি জিতেছেন কেবল রায়ান গিগস (১৩টি)। লিগ ওয়ানের শিরোপা জিতে মেসি এক সময়ের সতীর্থ দানি আলভেজেরও পাশে বসলেন। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের মতো আর্জেন্টাইন মহাতারকারও এখন শিরোপার সংখ্যা ৪৩টি।
আগামী জুন শেষেই পিএসজির সঙ্গে মেসির চুক্তির মেয়াদ ফুরোতে যাচ্ছে। অনেক জল্পনা থাকলেও এখনও ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু বলেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তবে ইউরোপে যাত্রা শুরু করা শৈশবের ক্লাব বার্সেলোনায় ফেরার কথাই শোনা যাচ্ছে। পিএসজিতে থেকে গেলে কিংবা কাম্প ন্যুয়ে ফেরার গুঞ্জন সত্যি হলে তার সামনে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে পাঁচশ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করার সুযোগ থাকবে।
অন্যদিকে, ক্যারিয়ারের বড় একটি সময় রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলেন রোনালদো। তবে বর্তমানে সৌদি আরবের শীর্ষ লিগে খেলা রোনালদো ক্যারিয়ার শুরু করেন স্পোর্টিং সিপির হয়ে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তিনি লা লিগায় ২৯২ ম্যাচে করেন ৩১১ গোল। পরে চার মৌসুমে জুভেন্তাসের হয়ে ৯৮ ম্যাচে সিআরসেভেন ৮১ গোল করেন। এছাড়া দুই দফায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ২৩৬ ম্যাচে ১০৩ গোল করে ওই চূড়ায় উঠেছিলেন তিনি।
এমজে/