বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হবে কিনা, সেটি আগামী দু-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।
রোববার সচিবালয়ে তার অফিসকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, সব কিছুর একটা ধারাবাহিকতা থাকে, কিন্তু গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দামে সে ধারাবাহিকতা রাখা যায়নি। সাধারণত বাজার সাপ্লাই এবং ডিমান্ডের ওপর নির্ভর করে। গত বছর পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকা সত্ত্বেও কিছু অসাধু আড়তদারের কারণে গুদামে অনেক পেঁয়াজ পঁচে গেছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মোট ভূখণ্ডের মোট ৬০ শতাংশ জমি আবাদ করা হয়। আবার একই জমিতে একাধিক ফসল হচ্ছে। আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার সঙ্গে প্রতিবছর প্রায় ২০ থেকে ২৪ লাখ মানুষ নতুন করে যোগ হচ্ছে। আমরা দানাদার খাদ্যতে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকলেও প্রতি বছর ক্রমবর্ধমান এ জনসংখ্যার কারণেই বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বেশি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দাম ২৫-৩০ টাকা হওয়াও কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা বিষয়টি মনিটরিং করছি। আমাদের অফিসারদের মাঠপর্যায়ে পাঠিয়েছি। তারা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, কৃষকদের ঘরে পেঁয়াজ থাকলেও দাম বাড়াবে— এমন আশায় তারা অনেকেই মজুত করে রেখে দিচ্ছেন। এতে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ খুবই পচনশীল ফসল। এটি রাখা কঠিন। ধান কিংবা সরিষা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু পেঁয়াজ রাখা যায় না, শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে গেলে ওজন কমে যায়, তখন দাম অনেক কমে যায়।
এমজে/