বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার নিয়ে কিছু কিছু গণমাধ্যম বিভ্রান্তিকর খবর দিয়েছে বলে দাবি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (১৬ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা প্রত্যাহার সম্পর্কিত এই বিভ্রান্তিকর খবরটি সঠিক নয়। প্রতিটি দূতাবাসেই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা বিধান অব্যাহত রেখেছেন এবং রাষ্ট্রদূতদের জন্য পুলিশ প্রদত্ত গানম্যান নিয়োজিত আছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য আন্তর্জাতিক আইন এবং প্রচলিত রীতির প্রতি বাংলাদেশ শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশ পুলিশ বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তার গুরুদায়িত্বটি সবসময় পালন করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের কয়েক বছর আগের একটি ঘটনার পরবর্তী সময় থেকে কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিককে অলিখিতভাবে গাড়িসহ নিয়মিত ট্রাফিক মুভমেন্টের সহায়তার জন্য বাড়তি কিছু লোকবল দেওয়া হয়েছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রণাধীন আছে। তাই তাদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রদানের কোনো আবশ্যকতা নেই। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর কার্যপরিধি বৃদ্ধির জন্য এই বাড়তি সুবিধাটি এখন অব্যাহত রাখা যাচ্ছে না। ব্যাখ্যায় জানানো হয়, পৃথিবীর কোনো দেশেই বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা ও চলাচলের ক্ষেত্রে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো সুবিধা প্রদান করা হয় না।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু দূতাবাস থেকে একই ধরনের সুবিধার জন্য অনুরোধ করার একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এ লক্ষ্যে তাদের সকলের সুবিধার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ আনসার বাহিনীতে একটি চৌকস দল তৈরি করেছে। বিদেশি কূটনীতিকরা তাদের খরচে এই সুবিধাটি গ্রহণ করতে পারবেন। কোনো দূতাবাস আনসার সদস্যদের এই সুবিধা অব্যাহত রাখতে চাইলে বা বাড়তি সুবিধা নিতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানালে সেই ব্যবস্থাটি গ্রহণ করা হবে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে মন্ত্রণালয়।
খুব শিগগির সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সব বিদেশি দূতাবাসকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমজে/