ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় চট্টগ্রামের উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে সর্বাত্মক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ৬ উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে ইতিমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে ৮২ হাজার মানুষ।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বাঁশখালী, সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, কর্ণফুলী, সীতাকুণ্ড, মীরসরাই উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলায় ১১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪৫ হাজার ১৪৩ জন, সন্দ্বীপ উপজেলায় ১৬২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৮৮৫ জন, আনোয়ারা উপজেলায় ৩৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৫ হাজার ২৮০ জন, সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৬২টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১ হাজার ২৮৯ জন, কর্ণফুলী উপজেলায় ১৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২০০ জন এবং মীরসরাইয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ৬০ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলাসমূহে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের মাঝে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন তারা।
জেলা প্রশাসক বলেন, উপকূলীয় উপজেলাসমূহে ঘূর্ণিঝড় মোখা’র ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুদেরকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মাছ-ধরার ট্রলার, নৌকা গত ১১ মে থেকে সমুদ্রে চলাচল বন্ধ আছে। নৌ চলাচল ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ আছে। কোস্ট গার্ড এ কার্যক্রম মনিটরিং করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিপি’র ভলান্টিয়াররা দুর্যোগ মোকাবিলায় মাঠে আছেন।
এমজে/