বর্তমানে হৃদরোগের ঝুঁকি সম্পর্কে আমরা অনেকেই পরিচিত। কারণ হচ্ছে— আশপাশের মানুষ অনেকে এ রোগে আক্রান্ত। তবে এ রোগের আক্রান্ত হওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে মনের করা হয়, কর্মব্যস্ততায় কাজের চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা না করা। হার্ট সুস্থ রাখতে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হবে। তবে শুধু দৈনন্দিন কার্যাবলিতে পরিবর্তন আনলেই হবে না, খাবারেও পরিবর্তন আনতে হবে। অর্থাৎ হার্ট সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই জরুরি। না হলে হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখা যাবে না। তাই সবার সেই খাবারগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত।
আমরা মাঝে মধ্যেই স্পেশাল খাবার খাই। সেখানে গোটা শস্যদানা ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ আইটেম রাখা উচিত। এগুলো কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। ফলে হার্টও সুস্থ থাকে।
ইউএসএ প্রকাশিত ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন নামক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিদিন প্রায় চার চামচ ফ্ল্যাক্সসিড উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
গবেষণা অনুসারে, ফ্ল্যাক্সসিডে পাওয়া আলফা-লিনোলিক অ্যাসিড হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য উপকারী। এটি বাদাম ফাইবার সমৃদ্ধ।
এ ছাড়া বাদামে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট এতে খুবই কম। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এটি। হার্টের জন্য স্বাস্থ্যকর বাদামগুলো হলো— আমন্ড, চিনাবাদাম, আখরোট, হ্যাজেলনাট এবং পেকান।
বিটের রস নাইট্রেট সমৃদ্ধ, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি বিট হার্টের জন্য খুবই উপকারী।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের গবেষণা বলছে, নিয়মিত এক গ্লাস বিটের রস রক্তনালিতে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
শাকসবজি ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর সবজি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং ধমনীর কার্যকারিতা বাড়ায়। করোনারি হার্ট ডিজিজের ঝুঁকিও কমায়। শুধু পালং শাক নয়, সব সবুজ শাকই হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে রাতে হজমশক্তি কম থাকে। তাই রাতে শাক না খাওয়াই ভালো। খেলে বদহজমের আশঙ্কা থেকে যায়।
এমজে/