চট্টগ্রাম নগরীতে আবারও নৃসংশভাবে আরেক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। চান্দগাঁও থানাধীন পশ্চিম মোহরায় নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিন পর রহিম নামে ১১ বছরের শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৩ মে) দিবাগত রাত তিনটার দিকে স্থানীয় গোলাপের দোকান মাজার গেইটে নির্মাধীন ভবন থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম।
রহিম ওই এলাকার সেলিম উদ্দীনের ছেলে। সে পশ্চিম মোহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
শিশু রহিমকে হত্যার অভিযোগে ২ জনকে আটক করেছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- আজম খান ও হৃদয়।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, শিশু রহিমকে গত ২৯ এপ্রিল বিকেলে টাকার জন্য প্রতিবেশী আজম খানের নেতৃত্বে অপহরণ করা হয়। ওইদিনই শিশুটিকে নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর সেখানে গর্ত করে মাটি চাপা দেওয়া হয়। শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার দিনেই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তার পিতা।
তিনি আরও বলেন, বুধবার আজম খানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে দিবাগত রাত তিনটার দিকে শিশু রহিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মরদেহ উদ্ধার অভিযানে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শিশু রহিমকে টাকার জন্য আজম খান অপহরণ করে। রহিমের শারীরিক গঠন ভাল ছিল। আজমকে শিশু রহিম চিনতে পেরেছে। আজম খানের সঙ্গে শিশুটির ধস্তাধস্তিও হয়। একপর্যায়ে রহিমকে নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে গিয়ে গাছের টুকরো দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর সেখানে একটি গর্ত করে রহিমের মরদেহে মাটি চাপা দেয় ঘাতক।
এমজে/