ধেয়ে আসছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’। আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল গ্লোবাল ফোরকাস্ট সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে, ঘূর্ণিঝড় মোচা স্থলভাগে আঘাতের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি থাকতে পারে ১৪০ থেকে। ভয়ংকর তাণ্ডব করবে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের চর ও উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
আগামী ১৩-১৬ মে সরাসরি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’। ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
এদিকে আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে জানা গেছে, ১৪ মে মধ্যরাতের পর থেকে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে সরাসরি স্থলভাগে আঘাত হানবে এ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি।
এ কারণে জলোচ্ছ্বাসও হতে পারে বাংলাদেশে। এ জলোচ্ছ্বাস হবে কমপক্ষে ১০ ফুট উঁচু। তাই প্লাবিত হতে পারে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের চর ও উপকূলীয় এলাকাগুলো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়টির সৃষ্টি এবং স্থলভাগে আঘাত করার সময় যদি আরও তিন দিন পিছিয়ে ১৭-১৮ তারিখ হয়, তা হলে অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে। কারণ ১৮ মে অমাবস্যার রাত। ওই দিন ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তিশালী হবে, আর সে কারণে জলোচ্ছ্বাসেরও শক্তি বেড়ে হবে ১৫ ফুট। যা শুধু প্লাবিত নয়, ভয়ংকর তাণ্ডব করবে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের চর ও উপকূলীয় এলাকাগুলোতে।
এ দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ চট্টগ্রামে আঘাত হানার প্রসঙ্গে আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা মেঘনাদ তঞ্চঙ্গ্যা চট্টলার খবরকে বলেন, এ ধরনের তথ্য এখনো বাংলাদেশ থেকে দেওয়া হয় নি। শুধু চট্টগ্রাম নয় পুরো বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস থেকে কোনো ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ তথ্য দেয় নি। যা মিডিয়াতে এসেছে সব বাইরের দেশের তথ্য। সেখানকার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ ভয়ংকর আঘাত হানতে পারে।
এমজে/