সারা দেশে ২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ১০টা থেকে বিষয়ভিত্তিক তাত্ত্বিক পরীক্ষা শুরু হয়। চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। করোনার পর এ বছর থেকেই পূর্ণ সময় ও পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে করোনার কারণে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে বিঘ্ন ঘটায় এ বছরও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে।
আজ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসির বাংলা প্রথম পত্র, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিলের কোরআন মাজিদ ও তাজভিদ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনালের বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা হচ্ছে।
চলতি বছর সারা দেশের তিন হাজার ৮১০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৮৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শিক্ষার্থীসংখ্যা ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৫। দাখিল পরীক্ষার্থী দুই লাখ ৯৫ হাজার ১২১ জন এবং এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনালে পরীক্ষার্থীসংখ্যা এক লাখ ২৭ হাজার ৭৬৭।
বিদেশে আটটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকেও শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে জেদ্দায় ৮৯ জন, রিয়াদে ৫১ জন, ত্রিপলিতে চারজন, দোহায় ৭৭ জন, আবুধাবীতে ৪১ জন, দুবাইয়ে ২৭ জন, বাহরাইনে ৬৫ জন এবং সাহাম ও ওমানের কেন্দ্র থেকে ২০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের হলে প্রবেশ করতে হবে। কোনো ধরনের মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া কেউ কেন্দ্রে ঢুকতে পারবে না।
পরীক্ষার বিষয়ে এর আগে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, শুধু পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাটন ফোন ব্যবহারের অনুমতি পাবেন। কোনো শিক্ষক এই আদেশ অমান্য করলে তাঁর এমপিও পর্যন্ত বাতিল হতে পারে। এ ছাড়া প্রশ্ন ফাঁস রোধে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে প্রশ্নপত্র বণ্টন করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
দীপু মনি জানান, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।