রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইয়ে অবস্থিত দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। কাপ্তাই হ্রদের পানির ওপর নির্ভরশীল এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বর্তমানে চরম সংকটে পড়েছে।
অনাবৃষ্টি এবং তাপদাহে কাপ্তাই হ্রদের পানি আশঙ্কাজনক হারে শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে এসেছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া ভারি বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত হ্রদে পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনাও নেই।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, রুলকার্ভ অনুযায়ী বছরের এ সময়ে কাপ্তাই হ্রদে পানি থাকার কথা ৮৭ দশমিক ৮০ ফুট এমএসএল (মিন সি লেভেল)। কিন্তু কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে পানি আছে ৭৬ ফুট এমএসএল। অর্থাৎ ১১ দশমিক ৮ এমএসএল পানি কম রয়েছে। এ ছাড়া কাপ্তাই হ্রদে পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল। এদিকে পানি যদি ৬৬ এমএসএলের নিচে নেমে যায়, তবে তাকে বিপৎসীমা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট সচল থাকলেও পানির অভাবে চারটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। একটি ইউনিট থেকে দৈনিক ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ভারি বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত কাপ্তাই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক হবে না। এ ছাড়া পানির স্তর যদি ৭০ ফুট এমএসএলে নেমে আসে, তবে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কেননা এ লেভেল পানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে না।
তবে স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কাপ্তাই হ্রদে ড্রেজিং করাসহ নানা মহাপরিকল্পনা নিলে হয়তো হ্রদের গভীরতা বাড়বে এবং এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।
এমজে/