চট্টগ্রামে আলোচিত মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলায় এজহার নামীয় আসামি সাইদুল ইসলাম সিকদার ওরফে শাকুকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন-৭ (র্যাব)।
আজ বুধবার (১২ মে) রাতে রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাট বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় নতুন করে মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। সেই মামলায় সাইদুল ইসলাম সিকদার ওরফে শাকুকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার সাইদুল মিতু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মুছার ভাই।
এর আগে, মঙ্গলবার (১১ মে) নিহত মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। একইদিন রাজধানীর ধানমন্ডির পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পিবিআই প্রধান উপ-মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার। তিনি বলেন, মিতু হত্যার সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। নতুন মামলা হলেই তিনি গ্রেফতার হবেন। উপ-মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার আরও বলেন, বাবুল আক্তারকে আজ গ্রেফতার দেখানো হবে এবং আগের মামলা ফাইনাল রিপোর্ট দেবে পুলিশ।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকাল ৭টা ১৭ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত মিতুকে ঘিরে ধরে প্রথমে গুলি করে। এরপর কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ওই সময় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। তার আগে তিনি চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন বাবুল আক্তার।
মামলাটি চট্টগ্রামের নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ৩ বছর ১১ মাস তদন্তে থাকার পর গত বছরের মে মাসে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু বাবুল আক্তার মামলার বাদি। তাকে আটক করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন বুধবার আদালতে পাঠানো হবে।