চীনের উদ্ভাবিত সিনোফার্মের টিকা যৌথভাবে বাংলাদেশে উৎপাদন হলে উভয় দেশই লাভবান হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিনোফার্মের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। আমরাও এখন টিকা আনতে চাই।
আজ বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় চীনের উপহারের টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
টিকা দেওয়ায় চীনকে ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিনোফার্মের টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন না দেওয়ায় প্রথম দিকে আমরাও আনতে খুব বেশি আগ্রহী ছিলাম না। আমাদের বিশেষজ্ঞরাও এমন নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তবে এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিনোফার্মের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। আমরাও এখন টিকা আনতে চাই।
আজ ভোর সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সি১৩০জে পরিবহণ বিমানটি চীন থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে কুর্মিটোলায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে অবতরণ করে। বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবত চীনা ভ্যাকসিনগুলো গ্রহণ করেন। এ সময় চীনের একটি প্রতিনিধিদলও সেখানে উপস্থিত ছিল। ভ্যাকসিনগুলো যথাযথ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে দেশে আনা হয়েছে বলে জানানো হয় বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে।
গতকাল চীন থেকে করোনাভাইরাসের টিকা আনতে বিমান বাহিনীর ১৩ সদস্যের এয়ার ক্রু পরিবহণ বিমান নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার হাবিবুর রহমান এই মিশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।