রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে নেয়া ঋণ চীনের মুদ্রা ইউয়ানে পরিশোধ করবে বাংলাদেশ। ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়ার ব্যাংকগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে মার্কিন ডলারের বদলে চীনের মুদ্রা ইউয়ানে দ্বিপাক্ষিক লেনদেন নিষ্পত্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও রাশিয়া।
স্থানীয় সময় সোমবার বাংলাদেশের সরকারি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
উত্তম কুমার কর্মকার নামের ওই কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়া চেয়েছে আমরা যেন তাদের মুদ্রা রুবলে ঋণ পরিশোধ করি। বর্তমান পরিস্থিতিতে তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ফলে চীনা মুদ্রা ইউয়ানে সেটা শোধ করতে রাজি হয়েছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, চীনের একটি ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ পেমেন্ট দেবে। আর চীনের সিআইপিএস বা ক্রস-বর্ডার ইন্টারব্যাংক পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে রাশিয়া অর্থ বুঝে পাবে। ইউয়ান-ভিত্তিক লেনদেন নির্ভর সিআইপিএস কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুইফটের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
পাবনার রূপপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১২ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে তৈরি করছে রুশ রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক কোম্পানি রোসাটম। এ খরচের ৯০ ভাগ ঋণ হিসেবে বাংলাদেশকে দিচ্ছে রাশিয়া। যা ২৮ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে। তবে ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডের সুবিধা দিবে রাশিয়া।
রূপপুরে দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথমটির নির্মাণকাজ শেষের পথে। পুরো প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এখান থেকে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। যা জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই ইউনিটের প্রথমটি ২০২৪ সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে। আর পরের বছর দ্বিতীয়টি চালু হবে বলে আশা করছে সরকার।
এমজে/