রমজানকে ঘিরে অনেকে অতি মুনাফা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল পণ্যের মাধ্যমে বাজার অস্থিতিশীল করতে চায় উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান বলেছেন, যারা এ ধরনের কাজে লিপ্ত হবে কিংবা কৃত্রিম সংকট তৈরি করবে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের তদবির বা ছাড় দেয়া হবে না।
সোমবার আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চট্টগ্রাম চেম্বারের উদ্যোগে পবিত্র রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান বলেন, একটি দেশ ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও আমলা এই তিন চাকার সমন্বয়ে চলে। তবে এই তিনের মধ্যে সমন্বয় না হলে আমরা বিপদে পড়ে যাব। তাই এই তিন চাকার মধ্যে সমন্বয় জরুরি।
সভাপতির বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সাপ্লাইচেইন ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়ে দ্রব্যমূল্য বাড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য হ্রাসকৃত মূল্যে ভোগ্যপণ্য বিতরণ কর্মসূচি এবং ভোক্তাদের জন্য দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে আমদানিতে শুল্ক হ্রাস ও অব্যাহতিসহ নানামুখী কারণে রমজান ও ঈদ কেন্দ্রিক সাপ্লাইচেইন নির্বিঘ্ন রয়েছে। বাজার মনিটরিংয়ের সব উদ্যোগে চিটাগাং চেম্বার সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করে এসেছে এবং ভবিষ্যতে তা অব্যাহত থাকবে। আমরা ব্যবসা করবো তবে অবশ্যই সাপ্লাইচেইন ঠিক রাখবো যাতে করে ভোক্তাদের কোনো অসুবিধা না হয়। কৃত্রিম সংকট তৈরি না করে, ব্যবসায়ীদের পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন এবং মানবিক দিক বিবেচনা করে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের উৎসব কেন্দ্রিক ছাড় দেওয়ার নজির স্থাপন করার আহ্বান চেম্বার সভাপতির।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, রমজান ও ঈদকে ঘিরে অবনতি হয় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। তাই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্বিঘ্ন রাখতে আমরা মনিটরিং বাড়িয়ে দেব। পাশাপাশি প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনে সাধারণ জনগণের স্বার্থে সর্বদা প্রস্তুত থাকবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, অনেক ক্ষেত্রে পাইকারি থেকে খুচরা পর্যন্ত পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা কোনো ভাউচার দেখাতে পারে না। ফলে ইচ্ছেমতো দাম বাড়ায় তারা। তাই বেচাকেনার ভাউচার ছাড়া যারা অতি মুনাফার লোভে ব্যবসা পরিচালনা করবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।
এমজে/