১০ ট্রাক অস্ত্রের সঙ্গে হাওয়া ভবন যুক্ত ছিল এটি অনুপচেটিয়ার বক্তব্যে স্পষ্ট: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় ১০ ট্রাক অস্ত্র পাচার করে ভারতবর্ষেও অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। যে কথাটি আমরা এত দিন বলে আসছিলাম। বিএনপির মন্ত্রী-এমপি ও হাওয়া ভবনের বরপুত্র তারেক রহমান যে অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিল এটি সম্প্রতি অনুপচেটিয়ার বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে।’

শুক্রবার রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে উন্নয়ন সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী কোন দেশে অশান্তি সৃষ্টি করা আমরা সহ্য করব না। সেই কারণে এ ধরনের চোরাচালান পরিপূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর আমি ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো সফরে গিয়েছিলাম। বিএনপির সময়ে হাওয়া ভবন এবং তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় অস্ত্র চোরাচালান হয়েছে। বর্তমানে যে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে সেগুলো হচ্ছে না, সে জন্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী আমার কাছে কৃতজ্ঞতা জানান।’

তিনি বলেন, ‘শনিবার বিএনপি জেলায় জেলায় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এগুলো করে তাঁরা দেশে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আগের কর্মসূচিতে তাঁরা গাড়ি পুড়িয়েছে। আমাদের শান্তি সমাবেশের ওপর হামলা চালিয়েছে। সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের পাশে থাকা, দেশে যাতে কেউ শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতি নষ্ট করতে না পারে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যখন মাঠে নামে, তখন জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য বাধ্য হয়ে আমাদেরও মাঠে থাকতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ মাঠের রাজনীতির দল, আমরা বিরোধী দলে যখন ছিলাম তখন যেমন মাঠে ছিলাম, সরকারি দল হলেও মাঠের রাজনীতির দল হিসেবে সব সময় মাঠে আছি এবং থাকব।’

বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খাঁনের এক বক্তব্যের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি বা কোনো দলকে দমানোর চেষ্টা করছি না। সেটি হলে তো বিএনপি কোনো প্রোগ্রাম করতে পারত না। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম তখন আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দুই পাশে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সেখান থেকে বের হতে দিত না।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এমনকি আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তারা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল, সেখানে অভিযান চালিয়েছিল। কাউকে বের হতে দেয়নি। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে সেখানে ছুটে যেতে হয়েছে। আমাদের কর্মীদের তাদের পেটোয়া বাহিনী ও পুলিশ দিয়ে যে হামলা করেছিল সেখান থেকে উদ্ধারের জন্য, আমিও সেদিন সঙ্গে ছিলাম। সেই ধরনের ঘটনা তো এখন ঘটে না।’

এরপর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান। সমন্বয় সভায় বিভিন্ন সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

এমজে/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img