চট্টগ্রামে তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় চালকের গাফিলতি ছিল

চট্টগ্রামের হালিশহর গুডস পোর্ট ইয়ার্ডে (সিজিপিওয়াই) লাইনচ্যুত হয়ে তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় চালকের গাফিলতি ছিল। গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মো. আবিদুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গুডস পোর্ট ইয়ার্ডে (সিজিপিওয়াই) সন্ধ্যা ৭টায় তেলবাহী ট্রেনটি প্রবেশের সময় ট্রেনের তিনটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়।

জানা গেছে, বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় গুডস পোর্ট ইয়ার্ডে (সিজিপিওয়াই) তেলবাহী ট্রেনটি প্রবেশের সময় ট্রেনের তিনটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়। পতেঙ্গা এলাকার মেঘনা, যমুনা, পদ্মা থেকে রেলওয়ের নিজস্ব পরিবহনে ডিজেল নিয়ে সিজিপিওয়াই প্রবেশের সময় এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে এসব তেল নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। প্রতিটি ওয়াগনে প্রায় ৩০ হাজার লিটার করে ডিজেল ছিল। ওয়াগন থেকে পড়ে যাওয়া তেল খাল ও নদীতে মিশেছে। পরে প্রায় ২২ ঘন্টা পর দুর্ঘটনার কবলিত ট্রেনের তিনটি ওয়াগন বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পাঁচটায় উদ্ধার করা হয়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গত বুধবার ট্রেন দুর্ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের কাছে তিন সদস্যের গঠিত কমিটি এ রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ইতোমধ্যে আমাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব্যবস্থাপক মো. আবিদুর রহমান বলেন, ‘শনিবার ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে গঠিত কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। দুর্ঘটনার জন্য কমিটি দুটি কারণ চিহ্নিত করেছে। একটি হয়েছে ত্রুটিপূর্ণ ‘ট্র্যাক’ এর কারণে। অপর কারণটি ছিল চালকের গাফিলতি। রিপোর্টে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেছে কমিটি। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট গুরুত্বসহকারে আমলে নিচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটির ইঞ্জিনও দীর্ঘদিনের পুরনো ছিল। এই ইঞ্জিনের মেয়াদও অনেক আগেই অতিবাহিত হয়েছে। বগিগুলোর মধ্যেও কয়েকটি মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল।’

এমজে/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img