ভারতের বিরুদ্ধে ‘তথ্যযুদ্ধ’ চালাচ্ছে বিবিসি, অভিযোগ রাশিয়ার

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’ শিরোনামে দুই পর্বের একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে ব্রিটিশ সম্প্রচার মাধ্যম বিবিসি। ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গায় সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে এই তথ্যচিত্রে। বিবিসির এই তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত, এর মধ্যেই নতুন বিতর্ক তৈরি করল রাশিয়া। ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন বা বিবিসির বিরুদ্ধে ‘তথ্যযুদ্ধ’ চালানোর অভিযোগ করল রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সোমবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, শুধুমাত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধেই নয়, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ব্যবহার করে বিশ্বের অন্য শক্তিকেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধেও তথ্যযুদ্ধ চালাচ্ছে বিবিসি।

‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’-এর কথা সরাসরি উল্লেখ করে জাখারোভা জানিয়েছেন, বিবিসি যে তথ্যযুদ্ধ চালাচ্ছে, এই তথ্যচিত্রটিই তার উদাহরণ। তিনি দাবি করেন, বিবিসি কোনও স্বাধীন সম্প্রচারকারী সংস্থা নয়। বিবিসির আওতায় সাংবাদিকতার মৌলিক দাবিগুলোও পূরণ হয় না। এরপর তিনি সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, কিছু গোষ্ঠী বিবিসিকে তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই গুজরাট দাঙ্গার সময় নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে তৈরি বিবিসি তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে ভারতজুড়ে এর প্রদর্শন এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। অন্যদিকে, একাধিক বিরোধী নেতা তথ্যচিত্রটির বিকল্প লিঙ্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দিয়েছেন। বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো এটি প্রদর্শনের ডাক দেয়। এর জেরে হায়দরাবাদ, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় সহ বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় । গ্রেপ্তার করা করা অনেক ছাত্রকে।

উল্লেখ্য, ‘ইন্ডিয়া:দ্য মোদী কোয়েশ্চন’-এর দুই পর্বে ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় মোদীর ‘ভূমিকা’ তুলে ধরা হয়েছে বিবিসির এই তথ্য চিত্রে। বিবিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতের মুসলিম সংখ্যালঘুদের মধ্যে উত্তেজনার উপরে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে। ২০০২ সালের দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীর যে ভূমিকা ছিল বলে অনেকে দাবি করে, সেই বিষয়েও তদন্ত করা হয়েছে।

বিবিসি আরও বলেছে, ভারতের মুসলিম জনসংখ্যার প্রতি তার সরকারের মনোভাব নিয়ে ক্রমাগত অভিযোগে, নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রীত্ব কীভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে, তাও দেখানো হয়েছে। এছাড়া, ২০১৯ সালে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর মোদী সরকারের গ্রহণ করা বিতর্কিত নীতিগুলোর সমালোচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, কাশ্মীরের অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করা, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ইত্যাদি।

এমজে/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img