ঊর্ধ্বতন র‌্যাব কর্মকর্তা সেজে হাতিয়ে নেয় টাকা

আট বছর আগে বিয়ে করেন মো. ইলিয়াস। তবে বোঝাপড়ার অভাবে দাম্পত্য জীবনে দেখা দেয় পারিবারিক কলহ ও মনমালিন্যে। বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো ইলিয়াস। এক পর্যায়ে তাদের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে হয়। শেষমেষ ভুক্তভোগী নারী দ্বারস্থ হন আদালতে। তার ছয় মাসের এক সন্তান রয়েছে। গেল ১২ সেপ্টেম্বর তিনি মামলা সংক্রান্ত কাজে আদালতে যান।

ওই দিন আদালত পাড়ায় মো. আমান উল্লাহ ওরফে মানিক (২৯) নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। ওই যুবক নিজেকে র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে তিনি ভুক্তভোগীর আদালতের আসার কারণ জানতে চান। ওই নারী সরল মনে মামলার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

র‌্যাব আরও জানায়, মামলার বিষয়টি শোনার পর আমান উল্লাহ র‌্যাবের মাধ্যমে তদন্তের কাজে সহযোগিতার পাশাপাশি আসামিকে গ্রেফতারের কথা জানায়। এই কাজের জন্য ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কথা মতো ভুক্তভোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। এরপর তিনি আসামির গ্রেফতারের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চায়। তবে ওই যুবক আরও ২০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে মামালাটি আসামির বিপক্ষে যাবে বলে হুমকি দেয়। এমনকি ভুক্তভোগীকে উল্টো গ্রেফতারের ভয় দেখায়। নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী র‌্যাবের অফিসে যোগাযোগ করেন।

অভিযোগ পেয়ে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তার অভিযান নামে র‌্যাব। বিশেষ অভিযানের মুখে গতকাল চট্টগ্রামের ভুজপুর থানার ভুজপুর ইউনিয়নের কাজীর টিলা এলাকা থেকে প্রতারক আমান উল্লাহকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় প্রতারণা করে আদায় করে টাকা। তিনি একই উপজেলার পশ্চিম সিংহরিয়া ইউনিয়নের মৃত আবুল কালামের ছেলে।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নূরুল আবছার জানান, ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আসা আমানকে গ্রেফতারের করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে নগরের চান্দগাঁও থানায় মানবপাচার ও দমন আইনে মামলা রয়েছে। আইনি ব্যবস্থার জন্য তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হয়েছে।

এমজে/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img