চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড এলাকায় হত্যার শিকার ৫ বছরের শিশু আলীনা ইসলাম আয়াতের মাথার খণ্ডিত অংশ পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে নগরের আকমল আলী রোড এলাকার স্লুইচগেটের কাছে মাথার বিচ্ছিন্ন অংশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান বলেন, সকালে শিশু আয়াতের মাথার খণ্ডিত অংশ পাওয়া গেছে। এর আগে বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে নগরের আকমল আলী রোডের শেষপ্রান্তে একটি নালা থেকে শিশুটির দুই পায়ের অংশ উদ্ধার করা হয়।
খুনি আবির আলীর (১৯) দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে গত ৩দিন যাবৎ পিবিআইয়ের ২৫ জনের দুটি টিম আয়াতের দেহের খণ্ডাংশগুলো ফেলার স্থান দুটিতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
আবির আলী স্বীকার করেছে, মুক্তিপণের জন্য সে বাড়িওয়ালার নাতনিকে অপহরণ করেছিল। চিৎকার করায় শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ১৬ নভেম্বর সকালে মরদেহ তিন টুকরো করে আকমল আলী রোডের শেষপ্রান্তে বেড়িবাঁধের পর আউটার রিং রোড সংলগ্ন বে–টার্মিনাল এলাকায় সাগরে ভাসিয়ে দেয়। ওইদিন রাতে বাকি তিন টুকরো আকমল আলী রোডের শেষপ্রান্তে একটি নালায় স্লুইচ গেইটের প্রবেশমুখে ফেলে দেয় আবির।
অভিযানে আয়াতের রক্তমাখা কাপড় ও স্যান্ডেল, মরদেহ টুকরো করার কাজে ব্যবহৃত বটি ও কাটার উদ্ধার করা হয়।
শিশু আয়াতকে খুনের মামলায় ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা আজহারুল ইসলামের ছেলে আবিরের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ার পর ২৪ নভেম্বর রাতে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই। ২৬ নভেম্বর বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদ্দাম হোসেনের আদালতে তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২৮ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত ফের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আবির আলীর মা-বাবা ও এক বোনকে আটকের পর ২৯ নভেম্বর দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহ’র আদালত মা ও বাবার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।