কাতারে বিশ্বকাপ মাঠে অভিনব প্রতিবাদ করছেন ইরানের তরুণীরা। খেলার সঙ্গে রাজনীতি বরাবরই হাত ধরাধরি করে হেঁটেছে।
ক্রীড়াঙ্গন যে নিছক খেলা আর বিনোদনের জায়গা নয়, তা বারবার প্রমাণিত হয়েছে নানা ঘটনায়। খেলাকে রাজনীতির ছোঁয়া থেকে রক্ষা করার জন্য অবশ্য চেষ্টা হয়েছে বারবার। কিন্তু খেলার মাঠে প্রতিবাদ শাসকের মাথাব্যথার কারণ হয়েছে বহুবার।
কাতার বিশ্বকাপে নজর কেড়েছে ইরানের সম্মিলিত প্রতিবাদ। গোটাবিশ্ব বিস্মিত হয়ে দেখেছে— দেশটির ফুটবলাররা জাতীয় সংগীতের সঙ্গে গলা মেলাচ্ছেন না। মৌনব্রত নিয়েছে ইরানের সমর্থকে ঠাসা গ্যালারিও।
ইরানের কঠোর শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই মৌনতাকে অস্ত্র বানিয়েছেন ইরানের ফুটবলাররা। এই তাক লাগানো প্রতিবাদের পর দেশে ফিরলে তাদের সবার জন্য মারাত্মক কিছু অপেক্ষা করছে, এটি জেনেও তারা পিছু হটেননি।
মাস দুয়েক আগে হিজাব না পরার অপরাধে ইরানের নীতিপুলিশ আটক করে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনিকে (২২)। পুলিশি হেফাজতেই মৃত্যু হয় তার।
তার পর থেকেই সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছে ইরান। বিশ্বকাপেও দেখা গেছে মাহসা আমিনির নাম লেখা জার্সি পরে, চুল খুলে গ্যালারিতে বসে রয়েছেন ইরানের যুবতীরা।
এই বিশ্বকাপে নীরব প্রতিবাদ জানিয়ে শিরোনামে এসেছে জার্মানির ফুটবল দলও। জাপানের কাছে ২-১ গোলে পরাস্ত হওয়ার পর প্রচারমাধ্যমের সামনে মুলারদের মুখে হাত দিয়ে ছবি তুলতে দেখা যায়।
পরে জানা যায়, বিশ্বকাপের আয়োজক এবং ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ফিফার একটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এ কাজ করেছেন তারা।