সীমান্ত হত্যা ‘শূন্যে’ নামিয়ে আনতে বাংলাদেশ-ভারত আলোচনা

বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তে হত্যা ‘শূন্য’ পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আলোচনা করেছেন প্রতিবেশী দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও অমিত সাহা। এছাড়াও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, অভিন্ন নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেছেন তারা।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে ভারতে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বিরোধী তৃতীয় কাউন্টার-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং অন নো মানি ফর টেরর (এনএমএফটি) মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের ফাঁকে দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করেন।

বৈঠকের পর ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সন্ধ্যায় টুইট করে বলেছে, ‘সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সাধারণ নিরাপত্তা-সম্পর্কিত বিষয়ে উভয় পক্ষের ফলপ্রসূ মতবিনিময় হয়েছে।’

এছাড়াও মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ভারতীয় পক্ষ আশ্বাস দিয়েছে যে, ভারত রোহিঙ্গা জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

উভয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ১৯৭১ সালে দুই দেশের জনগণ যেভাবে একসঙ্গে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল সেরকম ভবিষ্যতেও সময়ের প্রয়োজনে একে অপরের পাশে থাকবে।

বৈঠকে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান, ডেপুটি হাইকমিশনার মো. নূরল ইসলাম, মন্ত্রী (কনস্যুলার) সেলিম মো. জাহাঙ্গীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তৃতীয় এনএমএফটি মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে যান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র্র মোদি শুক্রবার সকালে হোটেল তাজ প্যালেসে দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

সন্ত্রাসে অর্থায়ন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য বিশ্বের ৭৬টি দেশের ৪৫০ জন প্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। শুক্রবারের অধিবেশনে বাংলাদেশ, রাশিয়ান ফেডারেশন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ ২০টি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে একটি ৩-সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ সম্মেলন সন্ত্রাসবাদের অর্থায়নের বিরুদ্ধে বর্তমান আন্তর্জাতিক শাসনের কার্যকারিতা এবং উদীয়মান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর জন্য একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।

শুক্রবার সম্মেলনের প্রথম দিনে ‘সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের বৈশ্বিক প্রবণতা’ এবং ‘সন্ত্রাসবাদের জন্য তহবিলের আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের ব্যবহার’ শীর্ষক প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আজ শনিবার ‘উদীয়মান প্রযুক্তি ও সন্ত্রাসবাদী অর্থায়ন’ এবং ‘সন্ত্রাসবাদী অর্থায়ন প্রতিরোধে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা’ বিষয়ক তৃতীয় ও চতুর্থ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ শুক্রবার দ্বিতীয় অধিবেশনে এমটিএসএস, হাওয়ালা বা হুন্ডি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সন্ত্রাসে অর্থায়নের ওপর একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেছে। বাংলাদেশের পক্ষে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান। খবর বাসস।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img