সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্র্যাটদের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নেভাদা অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকানকে হারানোর মধ্যে দিয়ে উচ্চকক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণভার ধরে রাখলো ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটরা। আগামী দুই বছর সিনেটের নিয়ন্ত্রণভার পাওয়ায় স্বস্তি বাইডেন শিবিরে। সিনেটের নিয়ন্ত্রণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ডেমোক্র্যাটদের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ, তার কারণ খোঁজার চেষ্টা করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

গত (৮ নভেম্বর) মঙ্গলবার দিনটি ছিল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও রিপাবলিকানদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নেভাদা অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী ক্যাথোরিন কর্টেজ মাস্ট্রোর জয়ে সিনেটে আবারও রাজত্ব করবে বাইডেনের দলটি। ডেমোক্র্যাটদের দখলে এখন ৫০টি আসন, বিপরীতে রিপাবলিকানদের ৪৯টি। তবে জর্জিয়ায় কোনও দল ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় আগামী মাসে দ্বিতীয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। যদি ওই ভোট রিপাবলিকানদের ঘরে যায়, সেক্ষেত্রে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ‘টাই-ব্রেকিং’ ভোট রয়েছে। ওই ভোটে সিনেট নিয়ন্ত্রণ করবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ক্ষমতার প্রথম দুই বছরে সিনেটে একই ঘটনা ঘটে। দুই দলের ভোট সমান সংখ্যক হওয়ায় কমলা হ্যারিস ‘টাই-ব্রেকিং’ ভোট দিয়ে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টিকে রক্ষা করেন। এবারও একই ঘটনা সামনে এসেছে।

সিনেটে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার বড় সুবিধাটা হলো, অপ্রত্যাশিতভাবে অবসর বা বিচারপতির মৃত্যুতে সুপ্রিম কোর্টের একটি আসন খালি হয়ে পড়ে। মূলত পছন্দের ব্যক্তিকে নিজের প্রশাসনে স্বাধীনভাবে নিয়োগ দিতে পারবেন বাইডেন। আর রিপাবলিকানরা চাইলেই প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পছন্দ-অপছন্দের বিষয়টি আটকে দিতে পারবে না।

তবে বাইডেনের একটি দুশ্চিন্তা রয়েছে যে রিপাবলিকানরা প্রতিনিধি পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ন্ত্রণ করতে যাচ্ছে। রিপাবলিকানরা প্রতিনিধি পরিষদে অল্প ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তা হলে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মাথা ব্যাথার কারণ হবে এটি।

যাই হোক সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখাটা দলে নিজের ইমেজ আরও পোক্ত হয়েছে বাইডেনের। এমন বাস্তবতায় প্রশাসনের উপদেষ্টারা বাইডেনকে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অনেকে বাইডেনের প্রশংসায় মেতেছেন।

তবে ডেমোক্র্যাটদের ফের জয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কিছুটা শঙ্কার মধ্যেই পড়েছে বলে মনে হচ্ছে, তবে এটি কতটা স্থায়ী হয় তা দেখার বিষয়। সিনেটে পরাজয়ে ট্রাম্পের সমালোচনায় করতে দেখা গেছে অনেককে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img