মধ্যবর্তী নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যে জয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ক্যাথরিন কর্টেজ মাস্তো।
এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ডেমোক্র্যাটদের হাতেই থাকল। তবে এটি এখনো স্পষ্ট নয় যে, হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ কাদের দখলে। খবর রয়টার্সের।
যদিও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায় রিপাবলিকানরা এগিয়ে রয়েছে। শেষ কয়েক শতাংশ ভোট গণনার আগ পর্যন্ত রিপাবলিকান অ্যাডাম পল ল্যাকসল্টই এগিয়ে ছিলেন, কিন্তু নেভাডার সবচেয়ে বড় এলাকা ক্লার্ক কাউন্টির সর্বশেষ ব্যাচের ব্যালট মাস্তোকে এগিয়ে দেয়।
সর্বশেষ ব্যাচে যে, ২৩ হাজার ২০০ ব্যালট গণনা হয়, তাতে ডেমোক্র্যাট মাস্তো পান ১৪ হাজার ১০০টি ভোট, ল্যাকসল্ট ব্যাগে ভরতে পারেন কেবল ৮ হাজার ২০০ জনের সমর্থন।
এ ব্যালটের আগে ল্যাকসল্ট ৮০০-এর কাছাকাছি ভোটে মাস্তোর চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। অ্যারিজোনায় আগের দিন সেনেটর মার্ক কেলির জয়ের পর থেকে সবারই চোখ ছিল নেভাডার দিকে।
এখানে জেতায় মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষের ১০০ আসনের ৫০টিই এখন ডেমোক্র্যাটদের হাতে থাকল, রিপাবলিকানদের থাকল ৪৯টি।
৬ ডিসেম্বর জর্জিয়ার ‘রান অফ’ ভোটে রিপাবলিকানরা জিতলেও সিনেট ডেমোক্র্যাটদের হাতছাড়া হবে না। সে ক্ষেত্রে উচ্চকক্ষ ৫০-৫০-এ ভাগ হয়ে গেলেও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ‘টাই-ব্রেকিং ভোটের’ সুবিধা নিয়ে ডেমোক্র্যাটরাই সিনেটে কর্তৃত্ব করতে পারবে।
এ ফল প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনকে বেশ স্বস্তি দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে টানা কয়েক মাসের জনমত জরিপ তার জনপ্রিয়তা কমার ইঙ্গিত দিচ্ছিল।
এদিকে ভোটের পর চার দিন পেরিয়ে গেলেও কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ কার দখলে যাবে তা নির্ধারিত হয়নি। রিপাবলিকানরা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও ‘ম্যাজিক নাম্বার’ ২১৮ নিশ্চিত করতে পারেনি।
এখন যেসব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসনে গণনা চলছে, সেগুলোর বেশিরভাগই ক্যালিফোর্নিয়ায় হওয়ায় নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার ব্যাপারেও আশা ছাড়ছেন না ডেমোক্র্যাটরা।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ৪৩৫ আসনের প্রতিনিধি পরিষদের ২১১টি রিপাবলিকানদের বাক্সে আর ২০৪টি ডেমোক্র্যাটদের দখলে গেছে বলে জানায় সিএনএন। এখনো আরও ২০টি আসনের ফল ঘোষণা বাকি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় গত ৮ নভেম্বর মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে লাখ লাখ আমেরিকান ভোট দেন তাদের পছন্দের প্রার্থীদের। শেষ মুহূর্তে ভোটারদের চাঙ্গা করতে চূড়ান্ত প্রচারাভিযানেও অংশ নেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।