অগ্রণী ব্যাংকের সার্ভারে জটিলতায় লেনদেন বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। গ্রাহকদের অতিরিক্ত চাপের কারণে এ ধরনের সমস্যা হয়েছে বলে জানিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
রোববার (৯ মে) সকালে মতিঝিলে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় গিয়ে দেখা গেছে, গ্রাহকরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। অধিকাংশ গ্রাহক ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও লেনদেন করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
আরিফ হোসেন নামে এক গ্রাহক বলেন, ‘বেলা ১১ টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। সার্ভার ঠিক মতো কাজ করছে না বলে দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়েও টাকা তুলতে পারিনি।’
শিল্প প্রতিষ্ঠানের বেতন ভাতা উত্তোলন করার জন্য এসেছেন আব্দুল হক। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার এসেছিলাম কিন্তু সার্ভার ঠিকমতো কাজ করেনি বলে টাকা তুলতে পারিনি। আজ লেনদেনের শুরুতে এসেও প্রতিষ্ঠান জন্য পুরোপুরি টাকা নিতে পারিনি। আবার সোমবার সকালে আসতে হবে।’
জানা গেছে, গত ৭ মে থেকেই ব্যাংকের সার্ভারে সমস্যা দেখা দেয়। তবে রোববার (৯ মে) লেনদেনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করে।
এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শামসুল ইসলাম বলেন, ‘সার্ভারের সমস্যার কারণে লেনদেন সমস্যা হচ্ছে। আমাদের সার্ভারটি অনেক পুরানো। সার্ভার আপডেট করতে যাচ্ছি। আমাদের সার্ভারটি ৯ ভার্সন রয়েছে এটা ২১শে কনভার্ট করবো। কিন্তু কোভিডের কারণে আমাদের ফরেন টেকনিক্যাল টিমের সদস্যরা আসতে পারছেন না। এ কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হঠাৎ করে গ্রাহকের লেনদেন বেড়ে গেছে। সাধারণের তুলনায় এখন তিন চার গুণ বেশি গ্রাহক লেনদেন করছেন। আগে সাধারণ সময় আমাদের লাখ ভাউচার হতো। সেখানে এখন সোয়া তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ ভাউচার হচ্ছে। সবাই এক সঙ্গে এন্ট্রি দেওয়ায় চাপ বেশি পড়ছে। তবে এটি বড় কোনো সমস্যা নয়।’
অগ্রণী ব্যাংকের এমডি জানান, ব্যাংক খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। কিন্তু গ্রাহক সকালে বেশি আসছেন। অনেকে জানেন না, ২টা পর্যন্ত লেনদেন চলছে। গ্রাহক যদি একসঙ্গে সকালে না এসে সুবিধামতো সময়ে আসে তাহলে এই সমস্যা হবে না। আর নতুন সার্ভার আপডেট হলে এ সমস্যা থাকবে না।