পঁচাত্তরের পর মুক্তিযোদ্ধা হত্যার বিচার হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান-পালটা অভ্যুত্থানের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের হত্যার বিচারও হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

তিনি বলেছেন, কথায় কথায় মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা, কথায় কথায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিরূপ অবস্থানে নিয়ে যাওয়া; এই ষড়যন্ত্র, এই রক্তের হোলি খেলা যারা করেছেন তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ উপলক্ষে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের মনের দাবি ছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেই দাবিটি বাস্তবায়ন করে দেখিয়ে দিয়েছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করিয়েও দেখিয়ে দিয়েছেন। আমি আশা করি, মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে-অকারণে যারা হত্যা করেছেন তাদের বিচারও বাংলার মাটিতে হবে। সেই বিচারটিও আমরা দেখতে পাব।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ একটি ধ্বংসস্তূপ ছিল। ব্রিজ ছিল না, খাবার ছিল না, কাপড় ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের পর কাপড়ের জন্য আমাদের লাইন ধরতে হতো। বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে ধরে দাঁড় করিয়েছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি খালেদ মোশাররফের অধীনে ২নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলাম। তিনি একজন বীরপুরুষ ছিলেন। তাকে অল্পের জন্যও চিন্তিত, মনোবল হারাতে দেখিনি। একাত্তরের যুদ্ধ তার প্রাণ কেড়ে নিতে পারেনি, প্রাণ কেড়েছিল ঘাতকরা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, জিয়াউর রহমানকে অনেকে মুক্তিযোদ্ধা বলেন। তিনি বরং আমাদের ভেতর অনুপ্রবেশকারী ছিলেন। জিয়াউর রহমানকে সীমান্তে কোনো সম্মুখযুদ্ধে পাওয়া যায়নি। তার অনুপ্রবেশ একটি দীর্ঘমেয়াদি সুদূরপ্রসারি ষড়যন্ত্রের ফল। যে দল গণতন্ত্রের নামে গণতন্ত্রের নামে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ চালায়, ধর্মের নামে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, অগ্নিসন্ত্রাস করে, সেই দলের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। এদের নিষিদ্ধ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম আমিন, মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান বীরবিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, গবেষক আনোয়ার কবির প্রমুখ।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img