শ্রীলংকার বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে। তাদের আজ ছিল নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। তবে ভাগ্য ঝুলছিল ইংল্যান্ডের। লংকানদের বিপক্ষে হারলেই ইংলিশদের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যেত।
কিন্তু আজ শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৪২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের এই জয়ে কপাল পুড়ল অস্ট্রেলিয়ার। বিশ্বকাপের স্বাগতিক এবং গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা এবারের আসরে সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নিল।
অ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বাধীন দলকে বিদায় করে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে গ্রুপ-১ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ড আজ জয় পাওয়ায় পাঁচ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট হয়েছে ৭। আগে থেকেই গ্রুপ-১ এ পাঁচ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট করে নিয়ে সেমির পথে ছিল নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। তবে রান রেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গী হয়ে সেমিফাইনালে ইংলিশরা।
শনিবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলংকা। আগে ব্যাট করে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি লংকানরা। পাথুম নিশানকার ৪৫ বলের ৬৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান তুলতে সক্ষম হয় সম্প্রতি এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া শ্রীলংকা।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে জয়ের লক্ষ্যে উড়ন্ত সূচনা করে ইংল্যান্ড। অ্যালেক্স হেলসকে সঙ্গে নিয়ে ৭.২ ওভারে ৭৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক জস বাটলার।
এরপর মাত্র ৩১ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপের মধ্যে পড়ে যায় ইংলিশরা। ২৩ বলে ২৮ রানে ফেরেন বাটলার। ৩০ বলে সাত চার আর এক ছক্কার সাহায্যে ৪৭ রান করে আউট হন অন্য ওপেনার অ্যালেক্স হেলস।
৭ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরতে পারেননি হ্যারি ব্রুকস ও লিয়াম লিভিংস্টোন। তারা দুজনেই ৪ রান করে ফেরেন। ৫ বলে ১ রানে আউট হন অলরাউন্ডার মঈন আলী।
এরপর স্যাম কারানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। জয়ের জন্য শেষ দিকে ১৩ বলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। ১৮তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন স্যাম কারান।
জয়ের জন্য শেষ দিকে ১২ বলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। ১৯তম ওভারে ৮ রান আদায় করে নেন বেন স্টোকস ও ক্রিস ওকস।
শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৫ রান। ওভারের প্রথম দুই বলে ডাবল-সিঙ্গেল মিলে ৩ রান আদায় করে নেন বেন স্টোকস-ক্রিস ওকস। তৃতীয় বল ডট।
ওভারের চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২ বল আগেই দলের জয় নিশ্চিত করেন পেসার ক্রিস ওকস। দলের জয়ে ৩ বলে ৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আর ৩৬ বলে ২ বাউন্ডারিতে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন বেন স্টোকস।