দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন লেবার দলীয় নেতা সাদিক খান। এবার ভোটারদের প্রথম পছন্দে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি কেউ। দ্বিতীয় পছন্দের ভোট বিবেচনায় ৫৫ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়ে কনজারভেটিভ দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শন বেইলিকে হারিয়েছেন তিনি। বিবিসির খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
চার বছর পরপর মেয়র নির্বাচন হয় লন্ডনে। ভোটারেরা প্রথম ও দ্বিতীয় পছন্দ জানিয়ে ভোট দেন। প্রথম পছন্দের ভোটে কেউ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে রেখে বাকি প্রার্থীদের বাদ দিয়ে ভোটারদের দ্বিতীয় পছন্দের ভোট হিসাব করে মেয়র ঘোষণা করা হয়।
সাদিক খানের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বেইলি ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। এবার তিনি গতবারের চেয়ে ১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছেন। অন্যদিকে, গ্রিন তৃতীয় স্থানে রয়েছেন গ্রিন পার্টির সিয়ান বেরি আর চতুর্থ অবস্থানে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির লুইসা পরিট। ৫ শতাংশেরও কম ভোট পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন লুইসা।
সাদিক খান ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কোনো দেশের রাজধানী শহরের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হন ২০১৬ সালে। ৫১ বছর বয়সী সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য সাদিক খান লন্ডনের মেয়র হিসেবে দ্বিতীয়বারেও জিততে চলেছেন বলে আগাম জরিপগুলোতে বলা হয়েছিল।
প্রথমবার সাদিক খান সর্বোচ্চ রেকর্ড সংখ্যক ভোট পান। এবার সে রেকর্ড ভাঙতে পারেননি, তবে দুই লাখ ২৮ হাজার বেশি ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছেন তিনি।
ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর সাদিক খান বলেন, ‘আমি সবসময়ই লন্ডনের প্রত্যেক বাসিন্দার মেয়র হিসেবে থাকব। এই শহরের প্রত্যেকটি মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করে যাব আমি।’
ব্রেক্সিট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্রেক্সিটের ক্ষতের দাগ এখনও শুকায়নি। এই ভোটের ফলাফলও প্রমাণ করে আমাদের সমাজ কতটা দ্বিধাবিভক্ত। আগামী দিনে এক ভয়াল সাংস্কৃতিক রেষারেষি বা যুদ্ধ আমাদের সামনে অপেক্ষা করছে। আমি কখনোই এই সাংস্কৃতিক যুদ্ধের পোস্টার বয় হতে চাইব না।
লন্ডনের মেয়র বলেন, ‘লন্ডনসহ গোটা দেশে অর্থনৈতিক অসমতা কঠিন আকার ধারণ করছে। মহামারি থেকে মুক্তির এই সময়ে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের সমাজের ক্ষতিকর বিভাজন থেকে জাতীয় মুক্তির মুহূর্তটিকে কাজে লাগানো উচিত।
এন-কে