ইকুয়েডরে কারাবন্দিদের স্থানান্তরের সময় বিস্ফোরণে অন্তত পাঁচ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো দুটি রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। খবর রয়টার্সের।
রক্ষণশীল নেতা ল্যাসো দেশের বাণিজ্যের প্রসারে তার সরকারের প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে মাদক চক্রের কারাগারের অভ্যন্তরে সহিংসতাকে দায়ী করে আসছেন।
ইকুয়েডর হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মাদক পাচারের একটি ট্রানজিট পয়েন্ট।
প্রেসিডেন্ট ল্যাসো এক ভিডিওবার্তায় বলেছেন, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দুটি শহরে ৯টি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মঙ্গলবার ভোরে সন্ত্রাসীদের আক্রমণ ছিল প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষণার মতো।
তিনি বলেন, সোমবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে গুয়াকিল ও এসমেরালদাসে যা ঘটেছে তাতে স্পষ্টভাবে দেখা যায় যে, সংগঠিত অপরাধী চক্র সীমানা অতিক্রম করছে। তার সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে এ হামলা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট ল্যাসো গুয়াস ও এসমেরালদাস প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান জোরদার করা হবে এবং রাত ৯টা থেকে কারফিউ বলবৎ থাকবে বলেও জানা গেছে।
ল্যাসো এ হামলার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি ব্যক্তিগত সফর বাতিল করেছেন।
ইকুয়েডরের কারাগার ব্যবস্থা কয়েক দশক ধরে কাঠামোগত সমস্যার সম্মুখীন। তবে ২০২০ সালের শেষের দিকে জেলে সহিংসতা বেড়েছে এবং কমপক্ষে ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছে এ পর্যন্ত।
ইকুয়েডরের সবচেয়ে সহিংস কারাগার গুয়াকিলের পেনিটেনসিয়ারিয়া থেকে এখন পর্যন্ত ৫১৫ বন্দিকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। এ স্থানান্তরের লক্ষ্য ভিড় কমানো এবং কারাগারে বন্দিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।