কৃষ্ণ সাগরের সেভাস্তোপোলে থাকা রুশ নৌ বহরে ড্রোন হামলার পর শস্যচুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয় রাশিয়া। তাদের দাবি নৌ বহরে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।
রাশিয়া শস্য চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ায় বিশ্বে নতুন করে আবারও খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত জুলাইয়ে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় শস্য চুক্তি করতে রাজি হয় রাশিয়া-ইউক্রেন। ওই সময় ইউক্রেনের বন্দরে ২০ মিলিয়ন টন শস্য আটকে ছিল। ফলে বিশ্বে তখনই খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। এ চুক্তির মাধ্যমে সেই শঙ্কা কেটে যায়। কিন্তু এখন চুক্তি থেকে রাশিয়া ‘অনির্দিষ্টকালের’ জন্য সরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় সেই শঙ্কা আবারও ফিরে এসেছে।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেনের শস্য চুক্তি স্বাক্ষরে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, চুক্তিটি টিকিয়ে রাখতে তুরস্ক কাজ করবে।
এ ব্যাপারে সোমবার ইস্তানবুলে একটি ওষুধ সম্মেলনে এরদোগান বলেছেন, বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ গম রাশিয়া ও ইউক্রেনে উৎপাদিত হয়। যেসব দেশ দুর্ভিক্ষের শঙ্কায় আছে সেসব দেশে গম পাঠানো আমাদের চেষ্টার বিষয়টির সবচেয়ে কাছের স্বাক্ষী হলেন আপনারা।
তিনি আরও বলেছেন, আমারা বিশ্বে ইউক্রেনের ৯.৩ মিলিয়ন গম পৌঁছে দিয়েছি এবং যৌথ সহযোগিতামূলক কেন্দ্র গঠনের মাধ্যমে বিশ্বে খাদ্য পণ্যের মূল্য কমাতে সহায়তা করেছি। কিন্তু এ বিষয়ে রাশিয়া দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে, কারণ তাদের সমান সুবিধা দেওয়া হয়নি। আমরা মানবতার স্বার্থে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখব।
এদিকে রাশিয়া শস্য চুক্তি থেকে সরে গেলেও সোমবার কৃষ্ণ সাগরে গঠিত মানবতা করিডোর দিয়ে ১২টি জাহাজ শস্য নিয়ে বের হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।