বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা খর্ব করে ও ঋণ খেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে ১৮ জুলাই জারি করা পরিপত্রের ৪, ৫, ৬ ও ৯ ধারা কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট আটজনকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
এর আগে গত ১৮ জুলাই ঋণ খেলাপিদের সুবিধা দিতে নিজেদের ক্ষমতা খর্ব করে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি পরিপত্র জারি করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আগের মাস্টার পরিপত্র (পরিপত্র নং-১৫) বাতিল করে ঋণ খেলাপিদের ঋণ পুনঃতফসিল করার ক্ষেত্রে এই ছাড় দেওয়া হয়। ঋণ পুনঃতফসিল করার ক্ষেত্রে মনিটরিংয়ের ক্ষমতা খর্ব করে এই পরিপত্র জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২২ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে জারি করা পরিপত্রের ধারা ৪(২) (৩), ৫, ৬ ও ৯ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) রিট দায়ের করে। এইচআরপিবির পক্ষে আইনজীবী ছারওয়ার আহাদ চৌধুরীসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন।
ইউআর/