যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস সম্প্রতি এক বক্তৃতায় নিজেকে ‘কট্টর ইহুদিবাদী’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।
একইসঙ্গে ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং ব্রিটেনের মধ্যে আরও গভীর সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।খবর জিয়োস নিউজ ডট ইউকের।
পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে যুক্তরাজ্য এবং আমেরিকা বহু বছর ধরে সর্বক্ষেত্রে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্ণবাদী আচনণের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে আসছে।
দশকের পর দশক ধরে ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠী ফিলিস্তিনিদের ওপর কঠোর নিপীড়ন, নির্বিচারে হত্যা, অবৈধ বসতি নির্মাণ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকারকে উপেক্ষা এমনকি ফিলিস্তিনিদেরকে ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ডে তাদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে।
নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর দমনপীড়নমুলক নীতি বিশ্ব জনমতের ক্ষোভের কারণ হয়েছে।
বর্তমানে পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে যুক্তরাজ্য এবং আমেরিকার কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে যখন ইসরাইলের নীতিগুলোকে অনুসরণ করছে এবং নিজেদেরকে ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর সমর্থক হিসেবে জাহির করছে তখন লিজ ট্রাসের স্বীকারুক্তি সবার সামনে এলো।
লন্ডনের মাধ্যমে ইসরাইলের কাছে প্রয়োজনীয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির বিষয়টি ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংগঠনগুলো কঠোর সমালোনা করে আসছে।
সম্প্রতি ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার শহরের বার্কলেস ব্যাংকের সামনে একদল ফিলিস্তিনি অধিকার কর্মী জড়ো হয়ে ইসরাইলি অস্ত্র কোম্পানিগুলিকে এই ব্যাংকের মাধ্যমে দেওয়া আর্থিক সহায়তা বন্ধের দাবি জানায়।
এখন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিস ট্রাস তেলআবিব থেকে অধিকৃত জেরুজালেম আল কুদসে ব্রিটিশ দূতাবাস সরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এ পর্যন্ত আমেরিকা, কসোভো, গুয়াতেমালা এবং হন্ডুরাস ইসরাইলের সমর্থনকারী এ চারটি দেশ তাদের দূতাবাস অধিকৃত জেরুজালেমে সরিয়ে নিয়েছে।
তবে বেশিরভাগ দেশ তাদের দূতাবাস তেল আবিব থেকে অধিকৃত জেরুজালেম আল কুদসে স্থানান্তর করতে অস্বীকার জানিয়েছে।
কারণ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ জেরুজালেমের পূর্ব অংশের ওপর ইসরাইলি দখলদারিত্বের স্বীকৃতি দেয় না এবং এটিকে অবৈধ বলে মনে করে।
ইউআর/